Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুদক চাকরি বিধির ৫৪(২)ধারা চ্যালেঞ্জ করে শরীফের রিট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০২২, ১২:০০ এএম

চাকরিচ্যুতির আদেশ অবৈধ ঘোষণা চেয়ে এবার রিট করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আলোচিত উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফউদ্দীন। তারপক্ষে গতকাল রোববার অ্যাডভোকেট মিয়া মোহাম্মদ ইসতিয়াকউদ্দিন রিটটি ফাইল করেন। অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন দোলন রিটের শুনানি করবেন বলে জানা গেছে।

রিটে দুদক চাকরি বিধি-মালা-২০০৮ এর ৫৪(২) ধারা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই ধারা সংবিধানের ১৩৫ (২) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। চাকরিচ্যুতির আগে শরীফকে কোনো আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়নি। এটি সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন। ন্যাচারাল জাস্টিসেরও পরিপন্থি। তার বিরুদ্ধে যেসব বিভাগীয় মামলা চলমান রয়েছে তার একটিও প্রমাণিত নয়। এটির ওপর ভিত্তি করে তার বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুতির মতো চূড়ান্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া বেআইনি। রিটে ১৬ ফেব্রুয়ারি চাকরিচ্যুতি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণার আর্জি জানানো হয়।
শিঘ্রই বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চে রিটের শুনানি হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন চাকরি বিধিমালা-২০০৮’র ৫৪(২) বিধি প্রয়োগ করে উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফউদ্দীনকে চাকরিচ্যুত করে কমিশন। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন কমিশন কর্মকর্তারা। তারা অভিযোগ করেন, কোনো প্রকার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে শরীফউদ্দীনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এটি অসংবিধানিক, বেআইনি এবং সাধারণ আইন অনুসারে মানবাধিকার পরিপন্থি।
অন্যদিকে শরীফউদ্দীন জানান, তিনি দুদকের চট্টগ্রাম অফিসে থাকাকালে ৫২টি মামলা দায়ের করেছেন। ১৫টি চার্জশিট দাখিল করেছেন। বিশেষত, কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা উদঘাটন, রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করেন। এসব কারণে তিনি প্রশাসন ক্যাডার, স্থানীয় রাজনীতিক ও দুর্নীতিবাজ স্বার্থান্বেষী মহলে রোষানলে পড়েছেন। এই বক্তব্যের পর দুদক তার বিরুদ্ধে চলমান বিভাগীয় মামলাসহ ১৩টি অভিযোগ আনে। এসব নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রিটটি শুনানির পর আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে রিটের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে মো. শরীফউদ্দীন অভিযোগ করেন, গ্রামের বাড়িতে লোক পাঠিয়ে দুদক এখনও তাকে হয়রানি করছে। ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ