পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুলিশের সোর্স তারেককে চাঁদা না দেয়ায় আমার এক বোন ও এক ভাইকে ধরতে আসে পুলিশ। আমার ছোট বোন সেই সময় ভিডিও ধারণ করলে তাকেও ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু তাই নয়, বিনা কারণে তাদের বিরুদ্ধে মাদকের মামলা দেয়া হয়েছে। তারা এখন জেলে আছে। ছোট বোনটাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় কোন মহিলা পুলিশও ছিল না। আমরা বিহারী বলে কি বিচার পাব না। আমরা বাসায় যেতে পারছি না। পুলিশের ভয়ে এখন পুরো পরিবার বাড়ি ছাড়া। কথাগুলো বলছিলেন পল্লবীর মিল্লাত ক্যাম্পের বাসিন্দা পৃথিবী আক্তার। গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন পৃথিবী আক্তার।
পৃথিবী আক্তার লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তাদের কাছে তারেক নামে এক পুলিশের সোর্স চাঁদা দাবি করে। তারা তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওইদিন রাতে তাদের বাসায় পুলিশ নিয়ে যায় তারেক। এরপর তার ভাই ডলারকে ধরে নিয়ে যাওয়ার তার কারণ জানতে চান এবং তার ছেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বাধা দেন। ওই সময় পুলিশ তার মাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পুলিশের ধাক্কায় সেখানেই জ্ঞান হারায় তার মা। এরপর রাত দিনটার দিকে তিনি মারা যান। ফলে পুলিশ তার ভাইকে আটক করলেও পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ভয়ে পালিয়ে যায়। এরপর তারা তাদের মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় মামলার সেই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, এরপর গত ২ মার্চ আবারও তাদের বাসায় যায় পুলিশ। সেই টিমে পুলিশের সোর্স তারেক ছাড়াও পল্লবী থানার এসআই আনোয়ার, হুমায়ুন কবির, এসআই তাপস, এসআই হরিন দাস, এসআই কামরুল, কন্সটেবল জাহাঙ্গীরসহ আটজন ছিল। তারা তাদের বাসা থেকে তার ভাই ডলারকে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে ওই সময় তার ছোট বোন ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা তার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয় এবং তাকেসহ আরও দুই বোন রিপা আক্তার, দিপা আক্তার ও ভাই ডলারকে ধরে নিয়ে যায়। ছোট বোনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় কোন মহিলা পুলিশ ছিল না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পৃথিবী আক্তার বলেন, আমাদের নামে থানায় কোন মামলা নেই। আমরা শাড়ির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। পুলিশের সোর্স তারেক চাঁদা চেয়েছিল। তারা আমার বোনের বাচ্চাকেও সাথে দিতে দেয়নি। আমরা এসবের বিচার চাই। এ ঘটনায় মাকে হত্যা, কলেজ পড়ুয়া বোনসহ তিন ভাই বোনকে বিনা কারণে গ্রেফতারের বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে পৃথিবীর তার বড় বোন মাকসুদা, গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা ডলারের স্ত্রী আজমেরীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।