পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে আগামী দু-একদিনের মধ্যে টাস্কফোর্স গঠন করবে সরকার। রমজানকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে নিত্যপণ্যের মজুত নিয়ন্ত্রণসহ ভ্যাট-ট্যাক্স কমানো বা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি ওএমএস কার্যক্রম ও পণ্যের সরবরাহ বাড়াব এবং মজুত নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গতকাল রোববার দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে বিকেলে সচিবালয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ তথ্য জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব, অর্থসচিব, বাণিজ্য সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিকাল ৪টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন থেকেই ওএমএসের কার্যক্রম বৃদ্ধি করব যাতে করে ন্যায্যমূল্যে কিংবা স্বল্পমূল্যে জনগণের হাতে প্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দিতে পারি। দ্রব্যের যে সাপ্লাই চেইন সেটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করব। সব জায়গায় খাদ্যদ্রব্য কিংবা এসেন্সিয়াল পণ্যের সাপ্লাই চেইন যাতে ঠিক থাকে। প্রডাক্ট স্টক যে যেখানেই রাখেন সেই স্টকটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করব কেউ যেন স্টক বেশি রেখে, মজুত বেশি করে দ্রব্যমূল্য না বাড়াতে পারে। ভোজ্যতেলের ব্যাপারে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে দাম বৃদ্ধির পরিসংখ্যান তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এক টন সয়াবিন তেলের মূল্য এক বছর আগে ছিল ১ হাজার ২৩৫ ডলার, পামওয়েল ছিল ১ হাজার ৩২ ডলার। ৯ মার্চ সয়াবিন তেল হয়েছে ১ হাজার ২৩৫ থেকে বেড়ে ১ হাজার ৯৩০ ডলার। পামওয়েল হয়েছে ১ হাজার ৮৯৭ ডলার। এই যে অস্বাভাবিক বৃদ্ধির চাপে তেল আমদানি করতে হচ্ছে। আমাদের চাহিদার ১০ শতাংশ বেশি উৎপাদন হয় না। আমাদের পুরোটাই আমদানি নির্ভর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সাপ্লাই সোর্স, স্টক সোর্স এবং যেকোনো উপায়ে দাম যেন অস্বাভাবিক বৃদ্ধি না হয় সেটার দিকে নজর রাখব। আমরা সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স গঠন
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে আগামী দু-একদিনের মধ্যে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা জানতে চাই, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই সুযোগ নিয়ে কোনো অসাধুতা যেন প্রশ্রয় না পায়। এজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়োজিত করে। আমরা দু-একদিনের মধ্যে টাস্কফোর্স গঠন করব। যাতে কেউ সুযোগটা না নিতে পারে। তিনি বলেন, সরকারি কিন্তু অত্যন্ত পিজিটিভলি কনসিডার করছে যে, মূল্য কোনটা হওয়া উচিত। এর উপরে যারা চেষ্টা করছেন তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু আমরা অ্যাকশনে যাব, এটা বলতে পারি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।