পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের পাঞ্জাবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের ঝাড়–র বাতাসে উড়ে গেল কংগ্রেস। ১১৭ আসনের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ‘জাদু সংখ্যা’ ৫৯ টপকে অনেক দূর গিয়ে তারা ১০০-র কাছাকাছি সংখ্যার পৌঁছে গিয়েছে। অধিকাংশ আসনেই অরবিন্দের দলের সঙ্গে টক্কর ছিল কংগ্রেসের। শতাব্দীপ্রাচীন দলকে সহজেই হারিয়ে দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। বাকি চার রাজ্যেই জয় পেয়েছে বিজেপি। তবে উত্তরপ্রদেশে তাদের আসন সংখ্যা কিছুটা কমেছে। পাঞ্জাবে আপ ও কংগ্রেসের পরে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রকাশ সিংহ বাদল পরিবারের নেতৃত্বাধীন শিরোমণি অকালি দল। অনেকটাই পিছিয়ে কংগ্রেস-ত্যাগী সাবেকন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহের ‘পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস’ এবং বিজেপি-র জোট। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী কয়েকটি কৃষক সংগঠন এ বার নতুন দল ‘সংযুক্ত সমাজ মোর্চা’ গড়ে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিল। তবে ভোটে তারা তেমন ছাপ ফেলতে পারেনি। ভোটের ফল বলছে পাঞ্জাব জুড়ে আপ ঝড়ে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা চরণজিৎ সিংহ চন্নী দু’টি আসনেই (ভদৌর এবং চমকৌর সাহিব) হেরেছেন। ‘আপ’ প্রার্থীরা হারিয়েছেন, উপমুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ সোনি (অমৃত সেন্ট্রাল), প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিংহ সিধু (অমৃতসর পূর্ব)-কেও। শিরোমণি অকালি দলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদ (লাম্বি) এবং তার ছেলে সুখবীরও (জালালাবাদ) ‘আপ’ প্রার্থীদের কাছে হেরেছেন। অন্য দিকে, ‘আপ’-এর মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ভগবন্ত মান (ধুরি) এবং বিদায়ী বিরোধী দলনেতা হরপাল সিংহ চিমা বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন।
‘চ্যাম্পিয়ন’ না হলেও অতীতে দু’বার পাঞ্জাবের ভোটযুদ্ধে ‘রানার আপ’ হওয়ার উদাহরণ রয়েছে কেজরীওয়ালের দলের। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে ওই রাজ্যের ১৩ আসনের মধ্যে অকালি-বিজেপি জোট ৬টি এবং আপ ৪টিতে জিতেছিল। কংগ্রেস জিতেছিল ৩টিতে। আবার ২০১৭-র বিধানসভা ভোটে ১১৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭৭টিতে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পায় কংগ্রেস। আপ ২০টিতে জিতে হয় দ্বিতীয়। তাদের সহযোগী লোক ইনসাফ পার্টি ২টিতে জয় পায়। অকালি দল ১৫টিতে জেতে। অকালি দলের সঙ্গে জোট করে লড়ে বিজেপি পেয়েছিল ৩টি আসন।
এ বার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহের দলত্যাগ এবং মুখ্যমন্ত্রী চন্নীর সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিংহ সিধুর বিবাদের জেরে কংগ্রেস বিপাকে ছিল। কৃষিবিলের বিরোধিতা অকালি দল এনডিএ জোট ছাড়ার পরে বিজেপি সেখানে অমরেন্দ্রের নয়া দল পাঞ্জাব লোক কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেও সুবিধা করতে পারেনি। গত আট বছরে দক্ষিণ পাঞ্জাবের মালওয়া অঞ্চলে আপ-এর সাংগঠনিক সক্রিয়তা অনেকটাই বেড়েছিল। এই অঞ্চলের ৬৯টি আসনের বড় অংশ এ বার কেজরীওয়ালের ঝুলিতে যেতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল। ভোটের ফল বলছে, সবগুলি অঞ্চলেই ভাল ফল করেছে আপ। দিল্লির বাইরে পদক্ষেপের জন্য তাদের প্রথম সোপানে নাম লেখা থাকবে পাঞ্জাবের।
এদিকে, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি-র আসন কিছু কমল। এটুকুই যা সান্ত¡না। বাকিটা গেরুয়া হাওয়া! টানা দ্বিতীয় বার লখনউয়ের মুখ্যমন্ত্রী আবাসের বাসিন্দা থাকছেন যোগী আদিত্যনাথই। বিরোধীদের দাবি ছিল, বিজেপি-র শক্ত ঘাঁটি পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে যে সমীকরণের কাঁধে ভর করে বিজেপি-র জয়জয়কার হয়েছিল, সেই ভাগাভাগির রাজনীতিতে লাগাম পরানো গিয়েছে। মূলত যে জাঠ-মুসলিম যুগলবন্দি চুরমার করে দিয়ে গেরুয়া ঢেউ তুলেছিল বিজেপি, কৃষক আন্দোলন তাতে প্রলেপ দেয়াই শুধু নয়, নতুন করে মজবুত করেছে। বিরোধীদের আরও দাবি ছিল, রাজ্যে বেকারত্ব আর মূল্যবৃদ্ধির জোড়া ফলায় বিদ্ধ হওয়া অবশ্যম্ভাবী বিজেপি-র। পাশাপাশি, বৃদ্ধ গবাদি পশু থেকে ঠাকুর সম্প্রদায়ের রমরমা, কত তিরেরই না নিশানা ছিল উত্তরপ্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের সরকার। কিন্তু বৃহস্পতিবার গণনা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বোঝা গেল, বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ এবং দাবিদাওয়া উড়ে গিয়েছে। জীবনের প্রথম বিধানসভা ভোটে লড়ে বিপুল ব্যবধানে জয় তো আসছেই, সেই সঙ্গে যোগীই যে উত্তরপ্রদেশের জন্য ‘উপযোগী’ তা-ও কার্যত বুঝিয়ে দিল ভারতের বৃহত্তম রাজ্যের আমজনতা।
তবে বিরোধীরা যে উত্তরপ্রদেশে একেবারে ধ‚লিসাৎ, তা নয়। বিরোধীদের একমাত্র সান্ত¡না হল পাঁচ বছর আগের চেয়ে বিজেপি-র আসন সংখ্যা কমে যাওয়া। গত বিধানসভায় বিজেপি এবং তাদের জোটসঙ্গীরা মিলে পেয়েছিল ৩২৫টি আসন। বিজেপি একাই পেয়েছিল ৩১২টি আসন। যদিও এই ভোটের আগে বিজেপি ছেড়ে সাতজন বিধায়ক এসপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। ফলে বিজেপি লড়াই শুরু করেছিল ৩০৫টি আসন নিয়ে। সেখানে এ বার হয়তো তারা থামবে তার থেকে ৩০ থেকে ৩৫টি আসন কম নিয়ে। সূত্র : টিওআই, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।