যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরের প্রথম দুই মাসেই ৭ দশমিক ৯ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। এটি হচ্ছে গত ৪০ বছরের মধ্যে দেশটির মুদ্রাস্ফীতির দ্রæততম গতি, কারণ গ্যাসের দাম বেড়েছে এবং বিস্তৃত পণ্য ও পরিষেবাগুলো আরও ব্যয়বহুল হয়েছে।

শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো বলেছে, গ্যাস, খাবার এবং ভাড়ার ক্রমবর্ধমান ব্যয় বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতিতে অবদান রেখেছে। দামের দ্রæত বৃদ্ধি সরাসির ভোক্তাদের আঘাত করেছে, যার ফলে আস্থা কমে যাচ্ছে এবং পরিবারের বাজেট প্রসারিত হচ্ছে। মহামারী চলাকালীন ক্রমবর্ধমান মজুরি এবং সঞ্চয় পরিবারগুলো এখন পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধি সত্তে¡ও ব্যয় চালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে, তবে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর উপর বোঝা তীব্রভাবে পড়ছে, যারা তাদের বাজেটের একটি বড় অংশ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনতে ব্যয় করে, যা এখন দ্রæত আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে।

দামের বিস্ফোরণ হোয়াইট হাউসের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করে, বিশেষ করে যখন নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচন দ্রæত এগিয়ে আসছে এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের জন্য নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়া অন্তত নিকট মেয়াদে গ্যাসের দামকে উচ্চতর করতে পারে। বেশিরভাগ আমেরিকানদের জীবদ্দশায় দ্রæততম মুদ্রাস্ফীতি ফেডারেল রিজার্ভের জন্যও একটি সমস্যা, যারা মূল্য স্থিতিশীলতা অর্জনের দায়িত্বে রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারা এই মাসে সুদের হার এক চতুর্থাংশ পরিমান বৃদ্ধি করবে। এটি সম্ভবত প্রথম পদক্ষেপগুলোর একটি যা, অর্থ ঋণ নেয়া এবং ব্যয়ের ক্ষেত্রে খরচ বৃদ্ধি করবে এবং অর্থনীতিকে ধীর করবে। খরচ কমিয়ে এবং শ্রম বাজারকে ধীর করে, ফেডারেল রিজার্ভ সময়ের সাথে সাথে মুদ্রাস্ফীতি বন্ধ করে কিছু চাপ নিতে সক্ষম হয়। সূত্র : দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।