Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বাংলাদেশে প্রচুর বিনিয়োগ আসছে সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দুবাইয়ে বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরাম ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০২২, ১২:১৯ এএম

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে প্রচুর বিনিয়োগ আসছে। আমরা এখন চেষ্টা করছি বিনিয়োগের পরিবেশটা সৃষ্টি করার জন্য। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করতে বদ্ধ পরিকর। আমরা ইতিমধ্যে কয়েকধাপে উত্তীর্ণ হয়েছি। এই বিনিয়োগ, এই বাণিজ্য যেন আরও সুদূরপ্রসারী হয় তার জন্য দেশের একজন শীর্ষ ব্যবসায়ীকে প্রধানমন্ত্রী নিজের উপদেষ্টা বানিয়েছেন। বিনিয়োগ বান্ধব সরকার হিসেবে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে সবধরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

গতকাল দুবাইয়ের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে প্যান এশিয়ান গ্রæপ আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ও জিসিসি ভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কন্নোয়নের লক্ষ্যে আয়োজিত বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের এই সেমিনারে অংশ নিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক সম্ভাবনা আছে। আমাদের বড় মার্কেট প্লেস আছে।
যেখানে ১৬৫ মিলিয়নের মধ্যে ৯০ মিলিয়নের পার্চেজিং ক্যাপাসিটি আছে। আমাদের দেশে যদি কেউ কোন খাতে বিনিয়োগ করে তবে তার লোকসানের সম্ভাবনা খুবই কম। বাংলাদেশে বিনিয়োগকৃত পণ্য অবিক্রিত থাকে না। ভোক্তার চাহিদা থাকায় বিনিয়োগ আসছে।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখনি আমরা বাণিজ্য, আমদানি, রপ্তানি সংক্রান্ত কোন প্রোগ্রাম করি পরবর্তীতে দেখা যায় যথেষ্ট বিনিয়োগ আসে। করোনাকালীন সময়েও আমাদের সাড়ে ছয় মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এসেছে। যেখানে বিশ্বের প্রায় দেশে বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে তা চালু রয়েছে।

আরব আমিরাতে শ্রমিক ভিসা চালু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও সৌদি আরবে সাত লক্ষ শ্রমিক পাঠিয়েছি। ইউএইতেও কয়েক লক্ষ লোক পাঠিয়েছি। সে অনুযায়ী সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশী শ্রমিক ভিসায় নেয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে তাদের চাকরির পরিমাণ কমে যাওয়ায় কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। কোম্পানিগুলো শ্রমিক নিচ্ছে না। তবে খুব শিগগিরই চাকরির পরিমাণ বাড়বে।

সরাসরি শিপিং চ্যানেল নিয়ে আরব আমিরাতের সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরাসরি শিপিং চ্যানেলে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ অগ্রগতি রয়েছে। এখন আমিরাতের পক্ষ থেকে কী বার্তা আসে তার জন্য অপেক্ষা করছি। এটি বাস্তবায়ন হলে আমাদানি-রপ্তানিতে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে। বর্তমানে যেখানে ১৪ দিন সময় লাগে, তখন ৭ দিনেই পণ্য আনা নেয়া করা যাবে। বর্তমানে একটি কন্টেইনারে ১২ হাজার ডলার দিতে হয়। তখন এটা অর্ধেকে নেমে আসবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এক অপার সম্ভাবনার দেশ। এখানে আমদানি, রপ্তানি ও বিনিয়োগের সব ধরণের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। আমরা আশাকরি বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের ফাউন্ডার ও প্যান এশিয়ান গ্রæপের সিএইও সাইফুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দীন, বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলি রুবায়েত-উল ইসলাম, মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়ামন্ডের ডিরেক্টর (ফিন্যান্স ও এডমিন) আমির সিএমসি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ