পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে সংলাপ করবে নতুন নির্বাচন কমিশন। আগামী ১২ মার্চ থেকে এ সংলাপ শুরু হবে। কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন এ কমিশন শুরুতেই শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপে বসবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, সংলাপে আগামী নির্বাচন কী ভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু করা যায় সে সব বিষয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মতামত নেবে কমিশন। এ ছাড়া নির্বাচনের বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কেও সবার সাথে বিস্তারিত আলোচনা হবে। সবার সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কর্মকৌশল ঠিক করবে বলে মো: আলমগীর জানান।
ইসি সূেত্র জানা যায়, পর্যায়ক্রমে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে সংলাপ আয়োজন করা হবে। তবে এ বিষয়ে এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
এর আগে, এ টি এম শামসুল হুদা, কাজী রকিব উদ্দীন ও নূরুল হুদা কমিশনও জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ করেছিল। নূরুল হুদা কমিশনের সংলাপে ৩৯টি রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, পর্যবেক্ষক সংস্থা, নারীনেত্রী ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা অংশ নিয়েছিলেন। সেই সংলাপে আসা সুপারিশগুলো তিন ভাগে ভাগ করেই মূলত দায়িত্ব শেষ করেছিল ইসি। জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন, ইভিএম ব্যবহার, ‘না’ ভোটের বিধান চালু করাসহ কয়েকটি বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে সুপারিশ এসেছিল সংলাপে। গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলো ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল’ হিসেবে চিহ্নিত করেই দায়িত্ব শেষ করে ইসি। আর সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, কিছু মন্ত্রণালয়কে নির্বাচনের সময় ইসির অধীনে নেওয়াসহ ছয়টি সুপারিশকে ‘সাংবিধানিক বিষয়’ হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসি বলেছে, এ ক্ষেত্রে তাদের কিছু করার নেই। এ ছাড়া নির্বাচনি আইনের সংস্কার, সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করাসহ ৩৪টি প্রস্তাব ও সুপারিশকে ইসি নিজেদের এখতিয়ারভুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছিল নূরুল হুদা কমিশন। কিন্তু এসব বিষয়েও কার্যকর কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
নূরুল হুদা কমিশনের বিদায়ের পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন শপথ নেয়। কমিশন এখনও সেই অর্থে নিজেদের কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেনি। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলে আসছেন, গত দুটি কমিশন দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ভোট এবং ইসির প্রতি মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকট দূর করে আস্থা অর্জন করাটা নতুন কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।