Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২২, ১১:৫৯ পিএম

নগরীতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে নেয়ার পর অসুস্থ হয়ে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। র‌্যাবের দাবি, তাকে গ্রেফতার কিংবা আটক করা হয়নি। একটি ওয়ারেন্টের বিষয়ে কথা বলার জন্য র‌্যাবের গাড়িতে তুলে নেয়ার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তার স্ত্রীও সাথে ছিলেন। হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান। নিহতের পরিবারও র‌্যাবের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেনি।

ওই ব্যক্তির নাম নজরুল ইসলাম বাবুল। তার বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ ঘাটচেকে। নগরীর ও আর নিজাম রোডে তার বাসা। ঠিকাদারির সাথে যুক্ত নজরুল ইসলাম এক সময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। তবে এখন তিনি কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নন বলে জানান তার পরিবারের সদস্যরা। গতকাল বুধবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে র‌্যাব।

তার আগে গত মঙ্গলবার রাত ১০টায় নগরীর পাঁচলাইশ থানার শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবের সামনে থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে হেফাজতে নেয় র‌্যাব। র‌্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাঙ্গুনিয়া থানায় ৯ বছর আগে দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি ছিলেন নজরুল। ওই ওয়ারেন্ট যাচাই করতে তাকে শেভরনের সামনে থেকে পতেঙ্গায় (র‌্যাব-৭ কার্যালয়) নেওয়ার পথে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তার স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন। দ্রæত তাকে পতেঙ্গায় বেসরকারি হোপ হাসপাতালে নিয়ে নেয়া হয়। সেখান থেকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নজরুলের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তারা জানায়, তিনি আগে থেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং তার হার্টের ৯৫ শতাংশ বøক ছিল। তিনি ভারতের চেন্নাইয়ে ডাক্তার দেবী শেঠীর তত্ত¡াবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন বিশ্বাসের উপস্থিতিতে পাঁচলাইশ থানার এসআই আবদুল মান্নান লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করেন। তিনি ইনকিলাবকে জানান, লাশের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। অস্বাভাবিকতাও মেলেনি। তবে এ বিষয়ে চমেক হাসপাতালের মর্গে উপস্থিত স্বজনরাও সাংবাদিকদের সঙ্গে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তার স্ত্রী এবং ছেলে বলেন, আমরা এখন দাফন-কাফন নিয়ে ব্যস্ত। এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ