Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলায় মেধার বিকল্প নেই : বিসিসি মিলনায়তনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২২, ১২:০১ এএম

চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলায় মেধার কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। মেধা দিয়ে বিশ্বকে জয় করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তরুণদের প্রোগামিং এ উৎসাহিত করতে পারলে সবকিছু ডিজিটাল করতে খুব একটা সময় লাগবে না। মেধাকে কাজে লাগিয়ে জয় করতে হবে চতুর্থ বিপ্লব। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে “ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (আইসিপিসি)” ওয়ার্ল্ড ফাইনাল ঢাকা ২০২২” এর হোস্ট কান্ট্রি হিসেবে বাংলাদেশের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. বিল পাউচার ঘোষণা দেন ৪৫তম “আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনাল ঢাকা” এর আয়োজক বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান, আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. বিল পাউচার, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ভিসি প্রফেসর কামরুল আহসান, আইসিপিসির উপ-নির্বাহী পরিচালক ড. জেফ ডোনাহু।
জুনাইদ আহমেদ পলক তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্য বলেন, সমস্যা সৃষ্টিকারী না হয়ে সমস্যা সমাধানকারী হিসেবে নিজেদের তৈরি করতে হবে। এর মাধ্যমে নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব। প্রোগ্রামিং বিশ্ব পরিবর্তনের হাতিয়ার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইংরেজি, গণিত-সহ সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ছোট বেলা থেকেই প্রোগ্রামিং শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। ডাক্তার, সাংবাদিকসহ যেকোন পেশায় সাফল্য বয়ে আনতে গণিত ও বিজ্ঞানের পাশাপাশি কোডিং ও প্রোগ্রামিং শিক্ষার বিকল্প নেই। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের আগামীর লক্ষ্যে হচ্ছে জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তোলা। প্রযুক্তিনির্ভর, জ্ঞানসমৃদ্ধ প্রজন্ম গড়ে তুলতে দেশে ৩০০টি স্কুল অব ফিউচার, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠাসহ আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম বলেন, আমরা দেশের যুবক-যুবতীদের, ছাত্র-ছাত্রীদের এবং শিশুদের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার লক্ষ্যে দেশব্যাপী উদ্যোগ নিয়েছি।


তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রতি বছর বিশেষভাবে আয়োজিত হয় “ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (আইসিপিসি)”। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানজনক একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা হল আইসিপিসি। আইসিপিসি আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বেলর বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে আইসিপিসি ফাউন্ডেশন। ৪৫তম আসরের আয়োজক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। আয়োজনের গেøাবাল হোস্ট ‘আইসিপিসি ফাউন্ডেশন’, একাডেমিক হোস্ট ‘ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক’, বাংলাদেশ এবং সহ-আয়োজক হিসেবে কাজ করছে ‘বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল’।
চীন, জাপান এবং থাইল্যান্ডের পর বাংলাদেশ এশিয়ার মাত্র ৪র্থ দেশ যারা এই ইভেন্টের আয়োজক হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। গত বছর এশিয়া ওয়েস্ট রিজিওনাল চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সম্মান অর্জন করে বাংলাদেশ। সারা বিশ্বে আইসিপিসি মূলত ৮টি রিজিওনালে আয়োজিত হয়। এ বছর ৭৫ টি দেশ থেকে প্রায় ১৫০টি দল এই কনটেস্টের চূড়ান্ত রাউন্ডে অংশ নিতে যাচ্ছে। উক্ত ১৫০ দলে প্রায় ৬০০ জন মেধাবী প্রতিযোগী অংশ নিবেন। আগামী ৬ থেকে ১১ নভেম্বর ৬ দিনব্যাপী ঢাকার বসুন্ধরায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) তে অনুষ্ঠিত হবে “আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনাল ঢাকা ২০২২”।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ