পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। দেশে-বিদেশে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘টেকসই আগামীর জন্য; জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’ প্রতিপাদ্য নিয়ে উদযাপিত হচ্ছে দিনটি। এ উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিব, প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা বিশ্বের সকল নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নারী দিবসকে ঘিরে সকল নারীদের প্রতি শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন কথামালায় নিজেদের অভিমত প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা।
এ উপলক্ষে সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ তার ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘মাতা, কন্যা, স্ত্রী, ভগ্নি- এই চার রূপে পৃথিবীর সব নারী পরিবারের নিরাপদ, সম্মানিত ও মূল্যায়িত হোক সবসময়।’
আলোচিত চিত্রনায়িকা নিপুন লিখেছেন, ‘আজ ৮ মার্চ - বিশ্ব নারী দিবস। পুরুষ শাসিত সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতার ভয়াবহতা- অনাদি কাল থেকেই। পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক সহ সব ক্ষেত্রেই নারী হয়েছে বঞ্চিত, শোসিত - হয়েছে নিপীড়িত । এমনকি নারী শিশু হত্যা, সহমরণের মতো ভয়ংকর নির্মমতা - খুব বেশী অতীত বিষয় নয়। অথচ একটি সমাজ, রাস্ট্র বিনির্মাণে নারীর অংশিদারিত্ত পুরুষের সমান। সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে সাথে নারীদের মনোজগতে সকল শোষণ, নিপীড়নের প্রতিবাদের বৈপ্লবিক চেতনা শানিত হতে থাকে। ১৮৫৭ সালে প্রথম আমেরিকার নিউইয়র্কে সুতা কলের নারী শ্রমিকগণ ন্যায্য মজুরী, কর্মঘন্টা নির্ধারণ, কর্ম ক্ষেত্রে সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করনের দাবিতে রাজপথে বিক্ষোভ করেন। যা অতি নিষ্ঠুরতায় অবদমন করা হয়েছিলো। ১৯০৯ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি -জার্মান সাম্যবাদী নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম নারী সম্মেলন। পরের বছর ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত ২য় নারী সম্মেলন থেকেই ৮ মার্চ - বিশ্ব নারী দিবস ঘোষিত হয়। আজ দেশে দেশে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি সমান তালে এগিয়ে চলেছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি , রাজনীতি, প্রশাসন পরিচালনা- এমনকি একটি রাস্ট্রের বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সমরে সংগ্রামে নারী তার সক্ষমতা, যোগ্যতা, মননশীলতা প্রমাণ করতে পেরেছে। কাজেই একটি উন্নত মানবিক বিশ্ব বিনির্মাণে নারীদের অংশিদারিত্ত, নারীর মর্যাদা , নিরাপত্তা এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিরংকুশকরণ এখন সময়ের দাবী। তাইতো কবি কাজী নজরুলের ভাষায় বলতে হয়- কোন কালে একা হয়নি ক জয়ী পুরুষের তরবারী / প্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে বিজয় লক্ষী নারী। সফল হোক- বিশ্ব নারী দিবস। বিশ্বের সকল নারীর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা রইল।’
জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘নারী-পুরুষ আলাদা করার কিছু নেই .... সবাই মানুষ ..... নিশ্চিত করা দরকার যোগ্য সম্মান আর সমঅধিকার .... ‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী,অর্ধেক তার নর। ”
আকলিমা খাতুন লিখেছেন, ‘নারী হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে নিজেকে মূল্যায়ন করতে চাই। দিবস নয়, প্রতিদিনের সম্মান চাই।’
অভিনেত্রী জাহারা মিতু লিখেছেন, ‘জীবনে একবারই নারী হয়ে জন্মানো নিয়ে আফসোস হয়েছিলো, যেদিন আব্বুর খাটিয়ায় কাধ মেলাতে পারিনি। এই অধিকারটুকু ছিলো শুধু আমার ভাইয়ের জন্য, আমরা চার বোন দাঁড়িয়ে আব্বুর শেষ যাওয়া দেখেছি। এর আগে বা পরে কখনোই আর নারী হয়ে জন্মানো নিয়ে আফসোস হয়নি। সেদিন বুঝেছিলাম কিছু কাজ শুধু ছেলেদেরই মানায়, আর কিছু কাজ মেয়েদের। এই সত্য মেনে নিয়েছি বলেই জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত সুন্দর। আমি সম-অধিকারের জন্য চিল্লাই না, আমি বিশ্বাস করি আমার যেটুকু শক্তি, যেটুকু সামর্থ্য; তার সবটুকুর সর্বোচ্চ ব্যবহার করাই আমার জীবনের সফলতা। আমি মানুষ। আমি শিক্ষা পেয়েছি আমার মতন করে বাঁচার।’
শুভেচ্ছা জানিয়ে উপস্থাপিকা মৌসুমী মৌ লিখেছেন, ‘নারীর ভেতর সুপ্ত একধরণের শক্তি আছে। এই শক্তি জাগ্রত করার জন্য চাই গতি। এই গতির সঞ্চার করতে হবে নারীর নিজেকেই। নারী দিবসের শুভেচ্ছা!’
অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামানের প্রত্যাশা, ‘পৃথিবীর সকল নারী হোক স্বামীভক্ত, পরকীয়া মুক্ত। নারী দিবসে প্রথমে আমার আম্মু কে সালাম জানাচ্ছি যার জন্য আমি এই দুনিয়াতে এসেছি। কাছের ও দূরের সকল নারীকে জানাই শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।