Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রাস্ট আইনে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ আপিল বিভাগের

সিএইচসিপিদের চাকরি জাতীয়করণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০২২, ১২:০৭ এএম

কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পদের চাকরি জাতীয়করণের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ সংশোধন করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
আদালত সিএইচসিপিদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরে হাইকোর্টের আদেশ সংশোধন করে তাদের চাকরি ‘কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন ২০১৮’ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল রোববার সরকারপক্ষের আপিল নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে সরকারপক্ষের ৬২টি আপিলের ওপর রায়ের জন্য নির্ধারিত দিনে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষের আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রোববার আদেশের জন্য তারিখ ধার্য রেখেছিলেন আপিল বিভাগ।এ তথ্য জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেলে এ এম আমিন উদ্দিন। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, প্রবীর নিয়োগী ও মো. খুরশীদ আলম খান।
খুরশীদ আলম খান আরও বলেন, সিএইচসিপিদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরে হাইকোর্টের আদেশ সংশোধন করে সরকারপক্ষের আপিল নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। আপিল বিভাগ সিএইচসিপিদের চাকরির ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে রিটকারীদের আরেক আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী বলেন, আদালত হাইকোর্টের আদেশ মডিফাই করে সরকারপক্ষের আপিল নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাদের চাকরি কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর আরও বিস্তারিতভাবে বলতে পারব।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানাস্তর চেয়ে সহিদুল ইসলাম, কামাল সরকার, জাহিদুল ইসলামসহ ১০ জন সিএইচসিপি রিট করেন। শুনানি শেষে একই বছর ২২ মার্চ বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ ১০ জন সিএইচসিপির চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। পরে একই বছরের সেপ্টেম্বরে ১০ পৃষ্ঠার ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়।
পরে একইভাবে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে হাইকোর্টে ৭৬টি রিট করেন দেশের বিভিন্ন জেলার কয়েক হাজার সিএইচসিপি। এর মধ্যে ৭৪টি রিটে সিএইচসিপিদের পক্ষে রায় হয়। পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপক্ষ এসব রায়ের মধ্যে থেকে ৬২টির বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে। পরে মামলাগুলো চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আসে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের এক নম্বর বেঞ্চে সরকারপক্ষের আবেদনের ওপর চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সরকারপক্ষের আপিল নিষ্পত্তি করে উপরোক্ত আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ