পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বড় ধরনের হামলার উদ্দেশ্যে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে আসে মনির। তার প্রধান লক্ষ্য ছিল বিচারপতি ও পুলিশ। চলছিল হামলার প্রস্তুতিও। তবে হামলার আগেই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গত শনিবার রাতে রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মনির আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করা হয়। সিটিটিসি জানায়, কুমিল্লার লাকসামের বাসিন্দা মনির আব্দুর রাজ্জাক বাহরাইন প্রবাসী। অনলাইনে বিভিন্ন কন্টেন্ট দেখে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হন তিনি। জঙ্গি সংগঠন গাজওয়াতুল হিন্দে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের বিচারক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা করেন তিনি। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পরিবারের কাউকে না জানিয়ে দেশে আসেন মনির। হামলা চালিয়ে আবারও বাহরাইনে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। এজন্য বেশকিছু স্থানে রেকিও করেন সেলফ রেডিক্যালাইজড (স্ব মৌলবাদী) মনির। গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, লাকসামের বাসিন্দা মনির ২০০৭ সালে শ্রমিক হিসেবে বাহরাইনে যান। ২০১৮ সালে দেশে এসে আবার বাহরাইনে যান। সেখানেই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন র্যাডিক্যালাইজড কনটেন্ট দেখে নিজে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হন। সলফ র্যাডিক্যালাইজড মনির একপর্যায়ে জিহাদের প্রস্তুতি নেন। তারই অংশ হিসেবে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দেশে আসেন। পুলিশ ও বিচারকের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেন তিনি। তাদের হত্যা করে দেশ স্বাধীন করার বিষয়ে ফেসবুকে পোস্টও দেন। নিজে জিহাদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি মনির অন্যকেও উদ্বুদ্ধ করতেন উল্লেখ করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তিনি গাজওয়াতুল হিন্দের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিতেন। বাহরাইনে তার পাকিস্তানি এক সহকর্মীর সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে পাকিস্তানি পরিচয় দিয়ে একটি আইডি খোলেন। সেটি দিয়ে নানা রকম সরকারবিরোধী, উস্কানিমূলক পোস্ট দিতেন মনির। তার ধারণা ছিল, যেহেতু তিনি বিদেশে থাকেন, তাকে কেউ ধরতে পারবে না।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, দেশে এসে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছদ্মবেশে বিভিন্ন জায়গায় রেকি করছিলেন মনির। তার কিছু সহযোগীর নাম আমরা পেয়েছি। তাদের গ্রেফতারে কাজ চলছে। গ্রেফতার মনিরের রিমাণ্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।