পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করতে চায় বাংলাদেশ। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রধানমন্ত্রীর আমিরাত সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ সফরে দেশটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, সরাসরি শিপিং লাইন চালু, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তনে টেকসই উন্নয়ন, আইসিটি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেবে ঢাকা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক মহামহিম মুহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে পাঁচদিনের সফরে আজ দেশটি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আলোচনার বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আমাদের মোট আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। তবে বাণিজ্য ঘাটতি এখনও দেড় বিলিয়ন ডলারের মতো। এর মূল কারণ আমরা তাদের কাছ থেকে শুধু জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকি। রপ্তানির পরিমাণ আরও বাড়ানোর জন্য এই সফরে গুরুত্বারোপ করা হবে। সেজন্য বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সরাসরি শিপিং চালু নিয়ে আলোচনা করা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তনসহ টেকসই উন্নয়নের জন্য আমিরাতের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে আলোচনায় বসব। এছাড়া আইসিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা দুই দেশের মধ্যে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময়ের নতুন নতুন অধ্যায় সূচনা করতে ইচ্ছুক।
প্রধানমন্ত্রীর সফরে কয়টি এমওইউ হবে- জানতে চাইলে মোমেন বলেন, এ সফরে আমরা চারটির মতো এমওইউ করব। তবে কোন বিষয়গুলোতে এমওইউ করা হবে, সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি। আগামী ১২ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে সঙ্গী থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। ৮ মার্চ ওই দেশে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া এবারের সফরে বিনিয়োগ, বাণিজ্য, খাদ্য সহযোগিতা, অভিবাসী শ্রমিকসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে দ্বিপক্ষীয়ভাবে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আনা খসড়া প্রস্তাব যুদ্ধ বন্ধের জন্য নয়, দোষারোপের জন্য ছিল বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সাধারণ পরিষদের খসড়া প্রস্তাবে বাংলাদেশ কেন ভোটদানে বিরত ছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খসড়া প্রস্তাবটি পড়লে দেখবেন, এটা যুদ্ধ বন্ধের জন্য নয়। কাউকে দোষারোপের জন্য এটি। আমরা শান্তি চাই। আমরা চাই না, কোথাও যুদ্ধ হোক। এ জন্য আমরা জাতিসংঘে বলেছি, যে দুর্ঘটনা হচ্ছে, তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
সব দেশ জাতিসংঘের সনদ মেনে চলবে, এমন প্রত্যাশা করে আব্দুল মোমেন বলেন, এই সনদ অনুসরণ করে আমাদের অগ্রসর হওয়া উচিত। বাংলাদেশ সব সময় আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে। এই সংঘাতের যেন শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।