Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ-ভুটান-নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হল্টমান

সবুজ স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির দিকে মনোযোগ আইএফসি’র

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২২, ৬:৩৯ পিএম

ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালের নতুন কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে মার্টিন হল্টমানকে নিয়োগ দিয়েছে। ঢাকা ভিত্তিক নিয়োজিত থেকে হল্টমান বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি এবং প্রভাব বিস্তারকারী বিনিয়োগ (ইমপ্যাক্ট ইনভেষ্টমেন্ট) বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেবেন, যেহেতু এই অঞ্চল কোভিড-১৯ এর প্রভাব থেকে পুনরুদ্ধারের পথে আছে।

হল্টমান এর জন্মস্থল জার্মানি। তিনি ২০০৭ সালে আইএফসি-তে যোগ দেন। আইএফসি’র দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক পরিচালক হেক্টর গোমেজ আং বলেন, আইএফসি বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালে এর কাজকে আরও দৃঢ় করছে এবং তাই মার্টিনের কর্ম-অভিজ্ঞতা এই অঞ্চলে আইএফসির জন্য অমূল্য হবে। তিনি বলেন, এখন নতুন চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগের সময় এবং আমি নিশ্চিত, মার্টিন সবুজ এবং স্থিতিশীল অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তায় এই তিনটি দেশে আইএফসি’র প্রচেষ্টা জোরদার এবং এর কাজে বৈচিত্র্য আনতে নেতৃত্ব দিতে সফল হবেন।

হল্টমান জলবায়ু, জেন্ডার, এবং সবুজ প্রবৃদ্ধির ওপর আইএফসি’র প্রভাব বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের পোর্টফোলিও নির্মাণ এবং বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনতে কাজ করবেন। এই অঞ্চলে ভবিষ্যৎ বিনিয়োগের সুযোগের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাত হলো - পরিবহণ এবং লজিষ্টিকস, সবুজ জ্বালানি, আর্থিক পরিষেবা, পর্যটন, কৃষি ব্যবসা, স্বাস্থ্যসেবা এবং আবাসন।

নতুন দায়িত্ব সম্পর্কে হল্টমান বলেন, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানে কাজ করতে যাওয়ার বিষয়ে আমি খুবই আনন্দিত। এই দেশগুলো জোরালো অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা এবং আর্থিক চাপের মুখে উল্লেখযোগ্যভাবে টিকে থাকার সামর্থ্য দেখিয়েছে এবং বাজার তৈরি এবং টেকসই উন্নয়ন উৎসাহিত করতে আইএফসি-র প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করার জন্য উম্মুখ। হল্টমান ওয়েন্ডি ওয়ার্নারের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।

উল্লেখ্য, ২০০০ সাল থেকে, আইএফসি বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালে বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করতে প্রায় ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে আইএফসি এই অঞ্চলের বিভিন্ন ব্যাংককে চলতি মূলধন এবং বিভিন্ন কোম্পানিকে তারল্য সহায়তা হিসেবে ২৭০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। এই বিনিয়োগ এসব প্রতিষ্ঠানকে সচল রাখতে, রফতানি চালু করতে এবং কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করছে , যা জাতীয় অর্থনীতিকে টেকসই রাখার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ