পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দলীয় সরকারের অধীনে নয়, ঐক্যমতের ভিত্তিতে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে গণফোরাম। জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় দলটির সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী এ কথা বলেন। ‘সুশাসনের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য ও দুঃশাসন হটিয়ে জনগণের শাসন চাই’ শিরোনামে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, নির্বাচনকালীন সময় দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ বা কোনও নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি, হবে না। নির্বাচন কমিশন যতই শক্তিশালী হোক তারা কার্যত কিছুই করতে পারেনি। সেজন্য দেশে আজ অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে নয়, ঐক্যমতের ভিত্তিতে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন।
একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড› তৈরি করবে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করবে। এই লক্ষ্যে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী, ব্যক্তি ও সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
সুব্রত চৌধুরী বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ঘোরতর অনিয়ম, দিনের ভোট রাতে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্যের অধিক্যের দৃষ্টান্ত থাকলেও সংবিধান বিধি লঙ্ঘন করে যে নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে নির্বাচন কমিশন তা বাতিল করেনি। বরং নির্লজ্জভাবে বলেছেন, নির্বাচন সন্তোষজনক হয়েছে। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে যারা নির্বাচন কমিশনে ছিলেন, যেসব কর্মকর্তা, রিটার্নিং অফিসার থেকে শুরু করে নির্বাচনের সাথে যারা সংশ্লিষ্ট ছিলেন তারা সুস্পষ্ট ভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। জনগণ যেখানে মালিক, জনগণ তাদের এই অপকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একা নির্বাচন করতে পারে না। এর জন্য অপরিহার্য সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল, মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা এবং বিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ। নির্বাচন কমিশন যতই চেষ্টা করুক না কেন নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এই সমস্ত স্টেকহোল্ডার নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মানেনি, কথা শোনেনি, শুনেছে বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকারের কথা। কারণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানেন তারা মাত্র তিন মাসের জন্য হায়ারে (ভাড়ায়) নির্বাচনের কমিশনের মাঠে গেছেন চলমান সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে। তিন মাস পরে তাদের ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই এবং তাদের নির্দেশেই চাকরি করতে হবে। সেজন্য নির্বাচন কমিশনের কমিশনারদের তারা তোয়াক্কা করে না।
সভায় উপস্থিত ছিলেন দলটির নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোস্তফা মহসিন মন্টু, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহসিন রশিদ, মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের ও আইয়ুব খান ফারুক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান, আশিষ বড়ুয়া, ওয়াহিদুল হক প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।