পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের মেয়ে জান্নাতুল নওরীন এশার আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচণাকারী হিসেবে বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার-এর মালিকের ছেলে প্লাবন ঘোষকে (২৮) আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে গতকাল গুলশান থানার এ মামলা দায়ের করা হয়।
গুলশান থানার পরিদর্শক তদন্ত আমিনুল ইসলাম বলেন, আত্মহত্যা প্ররোচণাকারী হিসেবে প্লাবন ঘোষকে আসামি করে জান্নাতুল নওরীন এশার পরিবারের পক্ষ থেকে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা মামলার আলোকে এ ঘটনার বিভিন্ন বিষয়ে খতিয়ে দেখছি। তদন্ত চলছে, তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
বর্তমানে খুলনায় অবস্থানরত এরশাদ শিকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী সানজিদা বলেন, একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বর্তমানে মানসিকভাবে অনেক বিপর্যস্ত রয়েছি। খুলনায় আমার মেয়েকে কবর দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কয়েকদিন পর কথা বলবো। আমার মেয়ের এই ধরনের ঘটনার জন্য প্লাবন ঘোষ দায়ী। এ ঘটনার বিষয়ে জানতে প্লাবন ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জানা গেছে, জান্নাতুল নওরীন এশা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করলেও পরবর্তী সময়ে কোথাও ভর্তি হওয়া হয়নি তার। গুলশান সুবাস্তু টাওয়ার-এর ৯ তলায় মা সানজিদাকে নিয়ে থাকতেন জান্নাতুল।
৮ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিকের ছেলে প্লাবন ঘোষের সঙ্গে। এ সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় মনোমালিন্যের এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে বয়ফ্রেন্ডের সাথে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জান্নাতুল নওরীন এশা। এ ঘটনার পর পরই জান্নাতুলের মা সানজিদা এ ঘটনার জন্য প্লাবন ঘোষকে দায়ী করে আসছেন।
প্রসঙ্গত, প্রায় দুই যুগ আগে খুলনার এরশাদ শিকদার ও তার গড়ে তোলা বাহিনীর হাতে একাধিক হত্যার রোমহর্ষক ঘটনা দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল। মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পর ২০০৪ সালে ফাঁসি হয় এরশাদ শিকদারের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।