পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের আটটি রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের মধ্যে প্রথম ও প্রধান এই ইপিজেডটি ৭০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে বিশ্ব র্যাংকিংয়ে সেরা অর্থনৈতিক সম্ভাবনাময় হিসাবে চতুর্থ স্থান অর্জনের গৌরব অর্জন করেছে চট্টগ্রাম ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট লিমিটেড (সিডব্লিউটিপি)। রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল দেশের অর্থনীতির অন্যতম শক্তি দায়িয়েছে বলে জানান, সিডব্লিউটিপি’র প্রধান নির্বাহী (সিইও) মো. আরিফুল হক তালুকদার।
গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডির বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) অফিসে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিশ্বমানের পরিবেশ ব্যবস্থা বিশেষ করে বর্জ্য নিষ্কাষণ ও এখানকার দূষিত পানি পরিশোধন না থাকার কারণে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো এখানে বিনিয়োগ ও ক্রয় আদেশ দিতে অনিহা দেখাতে থাকে। সে পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) চট্টগ্রাম ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট লিমিটেড (সিডব্লিউটিপি) কে নিয়োগ দেয়।
২০০৮ সালে এখানে তারা পরিবেশ ও কর্মীদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট (সিইটিপি) বসানোর কাজ শুরু করে। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিক সেবা প্রদান শুরু করে। শুরু থেকে মাত্র ৫টি শিল্পকারখানা এ সেবা গ্রহনের তালিকাভুক্ত থাকলেও বর্তমানে চট্টগ্রাম ইপিজেডের ১৩৯টি শিল্প-কারখানা এই সেবা নিচ্ছেন। চট্টগ্রাম ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট লিমিটেড (সিডব্লিউটিপি) এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) মো. আরিফুল হক তালুকদার বলেন। তিনি বলেন, মূলত পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং শিল্পকারখানার শ্রমিকসহ দেশের মানুষের সুস্বাস্থ নিশ্চিত করার জন্যই এ উদ্যোগ। দেশে এ জাতীয় প্রকল্প কম থাকা এবং প্রতিষ্ঠান চালানোর দক্ষজনবল না থাকা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল, তারপরও দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য এ ঝুঁকিটি নিয়ে কাজটি শুরু হয়। তিনি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) ও চট্টগ্রাম ইপিজেডকে। এই দুটি প্রতিষ্ঠান দারুনভাবে সহযোগিতা করেছেন, এখনও সব ধরণের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। এক কথায় বলা যায়, দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে এই দুটি প্রতিষ্ঠান পরিবেশের গুরুত্ব বুঝে তা রক্ষার জন্য বিশ্বমানের এ উদ্যোগকে এগিয়ে নিচ্ছে।
আরিফুল হক বলেন, আমাদের প্রধান কাজ দূষিত পানি শোধন করা। এ প্রকল্পে আমরা ইপিজেডের কারখানাগুলোর দূষিত পানি নির্দিষ্ট খাল থেকে নিয়ে শোধন করে সমুদ্রে ফেলি। পরিবেশ অধিদফতরের নীতিমালা অনুযায়ী কারখানার দূষিত পানি ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে ডিওই’র মানদণ্ড অনুযায়ী পানি পরিশোধন করে তা সাগরে ফেলি।
তিনি বলেন, ফিজিক্যাল, বায়োকেমিক্যাল এবং কেমিক্যাল এই তিনটি স্তরেই আধুনিক মেশিনের মাধ্যমে সব সময় পানি শোধনের মাত্রা দেখা যায়। সিঙ্গাপুরের ইয়ামোটো টেকনোলজির মাধ্যমে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এবং ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) নিয়মিত কাজের মান পরীক্ষা করেন।
বিশ্বজুড়ে উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিদিনই দূষিত পানি শোধন বা কারখানার বর্জ্য পরিশোধনের আধুনিক পদ্ধতি এবং মেশিন তৈরির গবেষণা চলছে। আগামীতে আমরা আরও ভালো সেবা প্রদানের জন্য চট্টগ্রাম ইপিজেডে পাইপ লাইন উন্নত করার কাজ শুরু করার কথা জানান তিনি।
আরিফুল হক বলেন, দেশের সমৃদ্ধ অর্থনীতির পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষা করা একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। এখন বিশ্বজুড়ে উৎপাদনের সঙ্গে শ্রমিকের জীবন-মান এবং কারখানার পরিবেশ সবার আগে দেখা হয়। সব কিছু পরিবেশ বান্ধব না হলে বিদেশিরা সেখানে বিনিয়োগ বা ক্রেতা হিসেবে থাকতে চান না। সব মিলে এটা এখন আমরাও বুঝছি, আমাদের আগামী প্রজন্মের বাসযোগ্য দেশ গড়তে সবার আগে সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। পরিবেশ বান্ধব শিল্প-কারখানা গড়তে এ কাজের বিকল্প নেই। এখন সরকার সুযোগ দিলে আমাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতা দিয়ে আমরা অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চলেও এ সেবা প্রদান করতে পারব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।