Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জেল ভেঙে মিছিল করেছিল কয়েদিরা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২২, ১২:০০ এএম

৫ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় বায়তুল মোকাররম থেকে মশাল মিছিল বের করে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ। এই দিনে পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষা সমিতির শহীদ মিনারে শপথ নেয়ার কথা ছিল। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এই যে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ভেঙে ২২৫ জন কয়েদী মিছিল করে শহীদ মিনারে চলে আসেন।
কারাগারের ফটক ভাঙার সময় প্রহরীর গুলিতে শহীদ হন ৭ জন। আহত হয়েছিলেন ৩০ জন। ওই দিন রাজশাহীতে সন্ধ্যা আইন জারি হয়। টঙ্গীতে গুলিবর্ষণে হতাহত হয় ১৮ জন। চট্টগ্রামে নিহত হন ২২২ জন, যশোরে মারা যান ১ জন।

এদিন সকাল ৯টায় তাজ জুট বেকিং শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে মিল সংলগ্ন মাঠে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে বটতলায় বাংলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ছাত্র জনসভা ও মিছিল হয়।
সকাল ১১টায় শহীদ মিনারে ছাত্র ইউনিয়নের গণজমাতেয় আর দুপুরে মসজিদ, মন্দির ও গীর্জায় বাঙালির মুক্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়। ওই দিন দুপুর ২টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে পূর্ব-পাকিস্তান ছাত্রলীগ লাঠি মিছিল বের করে। বিকেল ৪টায় লেখক সংঘের আলোচনা সভা ও পরে লেখকদের বিক্ষোভ মিছিল হয়।

এদিন ছয়টা-দুইটা হরতাল ছিল। সরকারি-বেসরকারি সব অফিস দুপুর আড়াইটা থেকে চারটা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রেশন দোকান, ব্যাংকও এই সময়ের মধ্যে খোলা রাখার নির্দেশ দেন তিনি। তবে ব্যাংক থেকে দেড় হাজার টাকার বেশি উত্তলোন করা নিষেধ ছিল। জরুরি সার্ভিস হিসেবে হরতাল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল- ওষুধের দোকান, অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তারের গাড়ি, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের গাড়ি, পানিবাহী গাড়ি, টেলিফোন, দমকল, মেথর ও আবর্জনা ফেলা ট্রাক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ