পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বর্তমানে দেশে খাদ্যের কোনো অভাব নেই। তবে এখন চ্যালেঞ্জ হলো সবার জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত করা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ একসময় খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল। এখন প্রায় ১৭ কোটি মানুষের প্রয়োজনীয় খাবার আমরা নিজ দেশ থেকে উৎপাদন করছি।
ঢাকায় দীপ্ত টেলিভিশন চত্বরে গতকাল ইয়ানমার কোম্পানির কৃষিযন্ত্র প্রদর্শনী পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। তিনি কৃষিযন্ত্র তৈরির জন্য বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে কারখানা স্থাপন করতে জাপানের কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইয়ানমার-এর প্রতি আহ্বান জানান। এসময় বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এদেশে কৃষিযন্ত্র তৈরিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
জাপানের প্রসঙ্গ তুলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, জাপান খুবই শিল্পোন্নত দেশ। তারপরও তারা কৃষি উৎপাদনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়, যেন খাদ্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীল হতে না হয়। আমরাও খাদ্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীল থাকতে পারি না। সেজন্য বর্তমান সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে সরকার কৃষিযন্ত্রে ব্যাপক ভর্তুকি দিচ্ছে। ফলে কৃষিকাজে যন্ত্র ব্যবহারে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে এবং কৃষিযন্ত্রের বিশাল বাজার তৈরি হয়েছে। জাপানি ইয়ানমার কোম্পানির যন্ত্রেরও চাহিদা অনেক। কাজেই, ইয়ানমার বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র তৈরি করতে পারে।
পরিদর্শনকালে বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ডিজি বেনজীর আলম, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি দেবাশীষ রায়, এসিআই এগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফম আনসারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে কৃষিমন্ত্রী এসিআই দীপ্ত কৃষি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বক্তব্য রাখেন। এছাড়া তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তাফা উসমান তুরান, দীপ্ত টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।