পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশটির অলভিয়া বন্দরে আটকা পড়েছে বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। গতকাল বুধবার (২ মার্চ) জাহাজটিতে রকেট হামলায় এক বাংলাদেশি নাবিক নিহত হন। বাকিরা আপাতত প্রাণে রক্ষা পেলেও জাহাজেই আটকা রয়েছেন এবং তাদের কেউ কেউ ভিডিও বার্তা দিয়ে উদ্ধারের আকুতি জানান।
উদ্ধারের আকুতি জানিয়ে পোস্ট করা আটকে পড়া নাবিকদের বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে একজনকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথা বলতে দেখা যায়। ২৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের একজন নাবিক বলেন, আমি বাংলার সমৃদ্ধির সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার। আমাদের জাহাজে একটু আগে রকেট হামলা হয়েছে। একজন অলরেডি ডেড (মারা গেছেন)। আমাদের পাওয়ার সাপ্লাই নেই। ইমার্জেন্সি জেনারেটরে পাওয়ার সাপ্লাই চলছে। আমরা মৃত্যুর সম্মুখীন।তিনি আরও বলেন, আমাদের এখনও উদ্ধার করা হয়নি। দয়া করে আপনারা আমাদের বাঁচান। আমরা সবাই আছি এখানে, দেখেন। আমাদের বাঁচান প্লিজ, দয়া করে। আমাদের কোনো জায়গা থেকে এখন পর্যন্ত সাহায্য আসেনি। আমাদের বাঁচান।
৩১ সেকেন্ডের অপর একটি ভিডিওতে জাহাজের আরেকজন নাবিক বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আমি আসিফুল ইসলাম আসিফ। আমাদের জাহাজে অ্যাটাক হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত ভালো আছি, তবে আমাদের এখনও উদ্ধার করা হয়নি। মিডিয়াতে এসেছে, আমরা নাকি পোল্যান্ডে চলে গেছি নিরাপদভাবে। এটা ভুল নিউজ। ফেক নিউজ। আমাদের প্লিজ এখান থেকে উদ্ধার করার ব্যবস্থা করেন। ১৮ সেকেন্ডের আরেকটি ভিডিওতে জাহাজটির আরেকজন নাবিক বলেন, ‘আমি ইঞ্জিন ক্যাডেট মৌ। বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজ থেকে বলছি। আমাদের শিপে বোম্বিং (বোমা হামলা) হয়েছে। আমাদের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার স্যার অলরেডি মারা গেছে। আমরা এখনও শিপের মধ্যে আছি। সবাই চাচ্ছি এখান থেকে বের হতে। আপনারা প্লিজ কোনো উপায়ে আমাদের এখান থেকে বের করুন। আমরা এখানে থাকতে চাচ্ছি না।
১৮ সেকেন্ডের অপর ভিডিওতে ক্যাডেট তুলি নামে একজন বলেন, আমি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজ থেকে বলছি। জাহাজে কিছুক্ষণ আগে বোম্বিং (বোমা হামলা) হয়েছে। আমাদের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার স্যার অলরেডি মারা গেছেন। আমরা সবাই খুব বিপদে আছি। আমাদেরকে উদ্ধার করেন এখান থেকে। আমাদেরকে বাঁচান প্লিজ। বুধবার ইউক্রেনে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ রকেট হামলার শিকার হয়। হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান (৩৩) নিহত হন। তিনি বরগুনার বেতাগী উপজেলার ৩ নম্বর হোসনাবাদ ইউনিয়নের আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে।
যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে আছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। জাহাজটিতে ২৯ জন বাংলাদেশি নাবিক ছিলেন। নাবিক হাদিসুর রহমান নিহত হওয়ার পর জাহাজটিতে বর্তমানে ২৮ জন উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছেন। সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক থেকে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায়। সেখান থেকে কার্গো নিয়ে ইতালি যাওয়ার কথা ছিল জাহাজটির। তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেয় শিপিং কর্পোরেশন। শেষ মুহূর্তে পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি ‘বাংলার সমৃদ্ধি’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।