পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে রাজীব কর নামের এক ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগে কোতোয়ালি থানার এসআই মিজানুর রহমানসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার আবেদন করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে গতকাল বুধবার এই আবেদন করেন রাজীব কর।
আদালত রাজীবের জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। তবে মামলা গ্রহণ বিষয় কোনো আদেশ এখনো দেননি বলে জানান আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল। অপর যে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে, তারা হলেন- কোতোয়ালি থানার এসআই মো. জলিল ও এএসআই ফরিদ ভূইয়া।
আবেদনে ভুক্তভোগী রাজীব দাবি করেন- ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি কোতোয়ালি থানা এলাকার ৬৯ নম্বর গোয়ালনগরের বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। রাত আড়াইটার দিকে এসআই মিজান ও এএসআই ফরিদ তার বাসায় সাদা পোশাকে আসেন। পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে হাতকড়া পরান। বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ২৮ ভরি সোনা, ৪১ হাজার টাকাসহ তাকে থানায় ধরে নিয়ে যান তারা। রাত তিনটার সময় তাকে থানার একটি কক্ষে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে মিজান ও ফরিদ পিটিয়ে অজ্ঞান করেন।
রাজীব অভিযোগ করেন, মারধরের এক পর্যায়ে তিনি পুলিশের কাছে জানতে চান, তার অপরাধ কী। তখন মিজান ও ফরিদ বলেছিলেন, তোর কোনো অপরাধ নেই। তুই ঢাকায় থাকতে পারবি না। তুই জানে বাচতে পারবি না। কোনোদিন মুখ খুলতে পারবি না।
তার অভিযোগ, সেদিন তাকে ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তা অমানুষিক নির্যাতন করেন। অসুস্থ হয়ে পড়িলে তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পরে আবার তাকে থানায় নিয়ে এসে নির্যাতন ও ৫ লাখ টাকা দাবি করেন তারা। টাকা দিতে অপারগতার কথা জানালে রাজীবের মুঠোফোন থেকে তার স্ত্রীকে কল করে টাকা চান মিজান। না দিলে হুমকি দেন। পরে স্বজনেরা মিজানকে ২ লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।