বাজেটে লৌহ শিল্পের কাঁচামালে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ আয়রন এন্ড ষ্টীল ইম্পোর্টারস এসোসিয়েশন। আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে বুধবার (২ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাথে সংশ্লিষ্ট সেক্টরের ব্যবসায়ীদের প্রাক বাজেট আলোচনায় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেয়া হয়।

সংগঠনটির সভাপতি আবু জর গিফারী জুয়েল বলেন, আয়রন এন্ড ষ্টীল সিট ইম্পোটাররা দীর্ঘদিন যাবৎ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের কাঁচামাল আমদানী করে আসছি। এই বিশাল শিল্পের সাথে প্রায় এক কোটিরও বেশি লোক জড়িত রয়েছে। আমরা বাণিজ্যিক আমদানীকারকরা দেশীয় শিল্প কারখানার মোট চাহিদার ৯৫ শতাংশ কাঁচামাল ও অবকাঠামো শিল্পের শতভাগ কাঁচামাল আমদানী করে ভ্যাট ও ট্যাক্স দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছি। আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে ১১ দফা প্রস্তাব দেয়া হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

তাদের প্রস্তাবগুলো হল, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে লৌহশিল্পের কাঁচামাল এইচএস কোড ৭২১০.৩০.০০, ৭২১০.৪৯.৯০, ৭২১০.৭০.৯০, ৭২১০.৬১.৯০, ৭২১০.৬৯.৯০, ৭২১০.৯০.০০, ৭২১০.৭০.৯৯, ৭২১০.৪০.৯৯ এর পণ্যগুলোর শুল্ক হার ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ ও মধ্যবর্তী শুল্কহার নির্ধারণ এবং আরডি প্রত্যাহার করতে হবে। ভ্যালুয়েশন রুল ২০০০ অনুসারে উপরোক্ত এইচএস কোড ভুক্ত পণ্যের সকল দেশ হতে আমদানীর ক্ষেত্রে ইনভয়েস ভ্যালুতে শুল্কায়ন, এআইটির উপর সারচার্জ প্রত্যাহার, আমদানী পর্যায়ে বন্ড ও ট্যাক্স সুবিধা বন্ধ করে উৎপাদনের পর বিপনন পর্যায়ে ট্যাক্স সুবিধা প্রদান, নায্য বাজারমূল্য যাচাই করে মূল্য সংযোগজন পরিচমান হিসাব করে টন প্রতি ১৫০ টাকা, আমদানী পর্যায়ে অগ্রিম ট্রেড ভ্যাট প্রত্যাহার, রেয়াত ও রিটার্ন ব্যবস্থা সহজীকরন, মূল্য সংযোজন কর সম্মাননাপত্র প্রদান ও ভ্যাট বকেয়া নাই এই মর্মে প্রত্যয়ন পত্র প্রদান, ২ টাকার অধিক বিক্রির উপর ৬.১০ প্রত্যাহার করার প্রস্তাব জানানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আয়রন এন্ড স্টিল ইর্ম্পোটারস এসোসিয়েশন এর সভাপতি আবু জার গিফারি জুয়েল, সিনিয়র সহসভাপতি আমির হোসেন নুরানী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নাসির উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, কোষাধ্যক্ষ সেলিম স্বপন প্রমুখ।