পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে নারী ও শিশুর লাশের সঙ্গে যৌনাচারের অভিযোগে গ্রেফতার মো. সেলিমকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আব্দুল হালিমের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। এর আগে সোমবার তাকে মর্গের সামনে থেকে আটক করে সিআইডি। ওইদিন রাতে এ ঘটনায় সিআইডির উপ-পরিদর্শক কৃষ্ণ কমল বণিক মামলা দায়ের করে। এ মামলায় সেলিমকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সেলিম কুমিল্লার লাকসাম থানার সাতেশ্বর এলাকার বাসিন্দা।
সিআইডি জানায়, গত বছর পৃথক ঘটনায় নারী ও শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় নগরীর চকবাজার ও চান্দগাঁও থানায় দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। ওই মামলা দুটি তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির এসআই কৃষ্ণ কমল বণিক। গত বছর ৭ ফেব্রুয়ারি নারী ও একই বছর ২৫ এপ্রিল শিশুর লাশের ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের পর লাশ দুটিতে ধর্ষণের আলামত পরীক্ষা করতে এইচভিএস নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখানে ডিএনএ পরীক্ষায় দুই নমুনাতেই একই পুরুষের শুক্রাণুর (বীর্য) উপস্থিতি পাওয়া যায়।
ময়নাতদন্ত করার আগ পর্যন্ত লাশ দুটি হাসপাতালের ১ নম্বর ইমার্জেন্সি মর্গে ছিল। সেখানে লাশের পাহারায় ছিলেন সেলিম। সেলিমই এই অপকর্ম করেছেন বলে সন্দেহ করেন সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা। পরে সেলিমকে সিআইডি অফিসে চায়ের দাওয়াত দেওয়া হয়। চা পানের সময় সেলিমের মুখ থেকে বের হওয়া লালার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেটি পরীক্ষার জন্য ঢাকায় সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়। সেখান থেকে পরীক্ষার ফলাফলে নিশ্চিত হওয়া যায় ওই লাশ দুটিতে যে ব্যক্তির শুক্রাণুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে তিনি এই সেলিম।
চমেক হাসপাতালের স্থায়ী কোন কর্মচারী না হয়েও মর্গে থাকতেন সেলিম। এর আগে পরে আরও কোন লাশের সাথে এমন অপকর্ম করেছে বলে সিআইডির ধারণা। আর এসব বিষয়ে রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এদিকে গ্রেফতারের পর সিআইডির পক্ষ থেকে সেলিমকে মর্গের ডোম দাবি করা হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে সে মর্গের কেউ না। অথচ সে দীর্ঘদিন থেকে মর্গের পাহারা এবং ডোমের সাথে লাশ কাটায় সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। তাহলে এখন প্রশ্ন হাসপাতালের কেউ না হওয়ার পরও মর্গের পাহারার দায়িত্ব কিভাবে তাকে দেয়া হল। লাশের সাথে এ ধরনের ঘৃণিত অপকর্মের ঘটনায় বিস্মিত অনেকে। তারা বলছেন, লাশ কাটা ঘরও এখন অরক্ষিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।