Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন হতে হবে

ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস পালিত ভার্চুয়াল সভায় সমাজকল্যাণমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২২, ১২:০৩ এএম

ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে গতকাল জাতীয় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। এ উপলক্ষে বারডেম অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ন্যাশনাল প্রফেসর এ কে আজাদ খানের সভাপতিত্বে¡ অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, রোটারী জেলা ৩২৮১ গভর্নর ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বারডেমের মহাপরিচালক অধ্যাপক এম কে আই কাইয়ুম চৌধুরী। এবারের মূল প্রতিপাদ্য ছিলো- ‘ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও করোনা প্রতিরোধে সচেতন হোন’। আলোচনায় সভায় সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ডায়াবেটিস একটি নীরব মহামারি। রোগ জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। নিজের অজান্তেই মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন হতে হবে। করোনা মহামারিতে ডায়াবেটিস রোগীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। প্রফেসর এ কে আজাদ খান বলেন, বর্তমানে নগরায়নের ফলে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগী বৃদ্ধির এই হার উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মত বাংলাদেশে বেশি। বিশেষ করে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে কায়িক পরিশ্রম না করা, মোটা বা স্থুলকায় হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত ফাস্ট বু বা কোমল পানীয় পান, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ধুমপান ও তামাক সেবন এবং গর্ভকালীন বিভিন্ন সমস্যা।

বাডাসের মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৮৪ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বলে ধারণা করা হয়। রোগটির সেবায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমিতি হলো বাডাস। দেশের ৫৬ লাখ অর্থাৎ ৬০ ভাগ রোগী সমিতি থেকে সেবা নিচ্ছে। তবে রোগটি সম্পর্কে সচেতন না হলে। নিয়ন্ত্রণ না করলে এটি রোগীর কিডনি, চোখ হার্ট, পা মারাত্নকভাবে আক্রান্ত হতে পারে। নিয়মিত সেবার মাধ্যমে ৭০ শতাংশ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায়।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ডা. ফারুক পাঠান। তিনি বলেন, ডায়াবেটিস ও কোভিড-১৯ এই দুটি মহামারী সারাবিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যার একটি সংক্রমক অপরটি অসংক্রামক।

তবে বর্তমান পরিস্তিতিতে একটি অপরটির উপর চাপ সৃষ্টি করছে। তাছাড়া ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিক ফেডারেশন (আইডিএফ) মতে বর্তমানে সারাবিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ৫৪ কোটি। আগামি ২০৪৫ সালে যা ৭৮ কোটিতে দাঁড়াবে। দেশে এই রোগীর সংখ্যা ৮৪ লাখ। এ হিসাবে ২০৪৫ সালে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা আনুমানিক ১ কোটি ৫৩ লাখ হবে।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে দেশেব্যাপি বিনামূল্যে স্বাস্থ্য ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা, সচেতনতামূলক পোস্টার ও লিফলেট প্রকাশ ও বিতরণসহ নানামুখী সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ