পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনার দিঘলিয়ায় ভারতীয় স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার লাগানো বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির বাটাগুরবাস্কা কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে। গত শনিবার দিঘলিয়া উপজেলার কাজীরহাট এলাকায় স্থানীয় এক জেলের জালে কচ্ছপটি ধরা পড়ে। ওইদিন গাজীরহাট ক্যাম্প পুলিশ সেটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগকে খবর দেয়। গতকাল রোববার সকালে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেটিকে উদ্ধার করে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে যান।
করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির জানান, এক সময়ে বাংলাদেশ, ভারত ও মায়ানমারে বাটাগুরবাস্কা প্রজাতির কচ্ছপের অস্তিত্ব ছিলো। এখন যা বিলুপ্ত প্রায়। খুব কম সংখ্যক এ প্রজাতির কচ্ছপ রয়েছে, যা সংগ্রহ করে গবেষণার কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা। বাটাগুরবাস্কা কচ্ছপের গতি ও আচরণবিধি, বিচরণ ক্ষেত্র, খাদ্যভাস এবং প্রজনন সম্পর্কে জানতে ভারতের টাইগার প্রজেক্ট গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সেদেশের সজনেখালী এলাকার কুলতলীতে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো ১০টি পুরুষ কচ্ছপ অবমুক্ত করে। তারই একটি কচ্ছপ খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাটে চলে আসে। কচ্ছপটি উদ্ধার করে আমরা আমাদের হেফাজতে রেখেছি। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। ভারতের এ ধরণের আরো একটি ট্রান্সমিটার বসানো কচ্ছপ পূর্ব সুন্দরবনের বলেশ্বর ও সাউথখালীর নদীতে বিচরণ করছে বলে জানা গেছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ বনবিভাগ, অস্ট্রিয়ার ভিজুয়েনা, আমেরিকার টিএসএ ও ঢাকার প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন বাটাগুরবাস্কা প্রজাতির কচ্ছপ নিয়ে গবেষণা করছে। তিনি আরো জানান, কচ্ছপের পিঠে বসানো স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটারের কার্যক্ষমতা এক বছরের। এরপর এমনিতেই এটি খসে পড়ে যায়। করমজলে বাটাগুরবাস্কা প্রজাতির কচ্ছপ রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪শ’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।