পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টিসিবির পণ্য কিনতে সমাজের সব শ্রেণির মানুষই এখন লাইনে দাঁড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, এটাতে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানের প্রকৃত চিত্র দৃশ্যমান। গতকাল শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে এনপিপি চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। পিলখানায় নিহত শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে ২০ দলীয় জোট শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান হয়।
২০০৯ সালে সংঘটিত পিলখানা ট্র্র্যাজেডির প্রসঙ্গ টেনে নজরুল ইসলাম বলেন, যে সরকারের আমলে এই ঘটনা ঘটেছে দায় সেই সরকারের ওপরই বর্তায়। পিলখানা ট্র্যাজেডিতে যত সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধেও এতো কর্মকর্তা নিহত হয়নি। ওই ঘটনার তদন্তে সামরিক-বেসামরিক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু কোনোটিরই তদন্ত প্রতিবেদন এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
তিনি বলেন, ওই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিচার আমরা পাইনি। বহুজন বিচারের আওতার বাইরে রয়ে গেছে। যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় সেই সরকার জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণে আগ্রহী হবে- এটা ভাবা যায় না।
নজরুল ইসলাম বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার পেছনে সত্যিকার অর্থে কারা ছিল, কেন ওই ঘটনা ঘটেছিল অর্থাৎ ওই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হওয়া দরকার। দেশে জনগণের ভোটে কখনো গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে উপযুক্ত তদন্তপূর্বক ওই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিচার যাতে হয় আমাদের সেই আহ্বান থাকবে।
২০ দলীয় জোটের এই সমন্বয়ক বলেন, মানুষ আজ দারুণ কষ্টে আছে। একজন মন্ত্রী পর্যন্ত বলেছেন, ভাল পোশাক পরা লোকও টিসিবির লাইনে দাঁড়াচ্ছে। বাস্তবতা হচ্ছে, টিসিবির পণ্য কিনতে এখন সমাজের সব শ্রেণির মানুষই লাইন দিচ্ছে। এটাতে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার প্রকৃত চিত্র দৃশ্যমান। হালাল উপার্জন করে এখন এই দেশে ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা পূরণ করে জীবন ধারণ করা সম্ভব নয়। তাই সমস্যা সমাধানে সরকার পরিবর্তন দরকার। প্রয়োজন জনগণের সরকার, যারা একযোগে দেশ ও দেশের জনগণের জন্য কাজ করবে।
এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন-২০ দলীয় জোট শরিক জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, এনপিপির যুগ্ম-মহাসচিব মো. ফরিদ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. ফখরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট শেখ ফরিদ, মো. তোতা মিয়া প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।