দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় তার আগের একই সময়ের তুলনায় করোনায় নতুন শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েছে। তবে সামান্য কমেছে শনাক্তের হার। এসময় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৫১৬ জন ও মারা গেছেন ১০ জন। মারা যাওয়া ১০ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ছাড়িয়ে গেলো। একই সময়ে শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর একদিন আগে এক হাজার ২৯৮ জন শনাক্ত ও পাঁচ জনের মৃত্যু ও শনাক্তের হার ছিল পাঁচ দশমিক ৫৮ শতাংশের তথ্য জানিয়েছিল অধিদফতর। অধিদফতরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া এক হাজার ৫১৬ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্ত হলেন ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫১ জন। আর ১০ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সরকারি হিসাবে মারা গেছেন মোট ২৯ হাজার পাঁচ জন। একই সময়ে করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২৭ হাজার ৩৫০টি, আর পরীক্ষা হয়েছে ২৭ হাজার ৪৩৪টি।

অধিদফতরের জানায়, দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৩৩ লাখ ১১ হাজার ২১৯টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৮৯ লাখ ২০ হাজার ৫৩২টি, আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৩ লাখ ৯০ হাজার ৬৮৭টি। করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ৪৫৯ জন। তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ১৪৬ জন। অধিদফতরের আরও জানায়, দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৯ শতাংশ, আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে পুরুষ আট জন, আর নারী দুই জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেছেন ১৮ হাজার ৫২৩ জন, আর নারী ১০ হাজার ৪৮২ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১০ জনের মধ্যে বয়স বিবেচনায় বেশি মৃত্যু হয়েছে ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন। ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুই জন, আর ৩১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের আছেন তিন জন করে, রংপুর বিভাগের দুই জন, আর খুলনা ও সিলেট বিভাগের আছেন একজন করে। ১০ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন সাত জন, আর বেসরকারি হাসপাতালে তিন জন।