পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, এই স্বৈরাচারী সরকার বাংলাদেশের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করছে। আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে হেয়প্রতিপন্ন করছে। এরই মধ্যে র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। পুলিশের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সরকার লবিস্ট নিয়োগ করেছে। কিন্তু লবিস্ট নিয়োগ করে পার পাওয়া যাবে না, বৈতরণী পার হওয়া যাবে না। কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যুর ১ বছর পূর্তিতে গতকাল জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের নামে অনেক সেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়েছিল। গত বছর ২৫ ফেব্রুয়ারিও আরেক ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার জন্য কারা হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদকে হত্যা করা হয়েছিল। মানুষের জীবনের শেষ আশ্রয় আদালতের কাছেও বিচার পাওয়া যায়নি। ৬ বার জামিনের আবেদন করেও জামিন পাননি লেখক মুশতাক।
তিনি বলেন, এ স্বৈরাচারী ক্ষমতা বাংলাদেশের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করছে, আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে হেয়প্রতিপন্ন করছে। এরই মধ্যে র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। তাদের এ সব কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে বিপদের মধ্যে ফেলবে। বাংলাদেশের রফতানি, বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিকরা বিপদে পড়বেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার এমন একটি আইন বানিয়েছে, যার মাধ্যমে মানুষের অধিকার হরনের সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। তাদের গদি রক্ষা করার জন্যই এ আয়োজন। এই ক্ষমতার বলেই বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকা যায়, দিনের ভোট রাতে করা যায়।
তিনি বলেন, এ সরকারের পতনের জন্য, ভোটাধিকার রক্ষার জন্য সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মুশতাক আমাদের প্রেরণা।
মুশতাকের শাহাদত সারা দেশের মানুষের মধ্যে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের শক্তি হয়ে উঠছে। যার যার অবস্থান থেকে রাজপথে নামতে হবে। সমস্ত সংগ্রামকে যুগপৎভাবে একটি সাধারণ লক্ষ্য এই সরকারের পতন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে নিয়ে যেতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া ও অঞ্জন দাস। সমাবেশ পরিচালনা করেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু। সমাবেশ শেষে জাতীয় জাদুঘর থেকে হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।