পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
আন্তর্জাতিক বাজারে রডের কাঁচামাল ও রাসায়নিকের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশেও রডের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তাতে দামও বাড়ছে। এ অবস্থায় রডের দাম নিয়ন্ত্রণে আগামী বাজেটে কর ও ভ্যাট কমানোর দাবি জানিয়েছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ইস্পাত খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসএমএ) নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ইস্পাত খাতের জন্য বেশকিছু সুপারিশ ও দাবি তুলে ধরা হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএসএমএর সাধারণ সম্পাদক ও মেট্রোসেম গ্রুপের এমডি মো. শহিদউল্লাহ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএ সভাপতি মানোয়ার হোসেন, সহসভাপতি সুমন চৌধুরী, পরিচালক আশরাফুজ্জামান, আশরাফ সিদ্দিকী, হুমায়ূন কবির, আশফাকুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ইস্পাতের কাঁচামাল ও রড উৎপাদনে ব্যবহূত রাসায়নিকের বড় অংশই আমদানিনির্ভর। করোনার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে রড তৈরির কাঁচামাল ও রাসায়নিকের দুষ্প্রাপ্যতা তৈরি হয়েছে। এতে দাম অনেক বেড়ে গেছে। ফলে দেশেও রডের দাম বেড়ে চলেছে। বিএসএমএর সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ বলেন, ২০২০ সালের মার্চ-এপ্রিলে রড তৈরির কাঁচামাল মেল্টিং স্ক্র্যাপের প্রতি টনের দাম ছিল ৩০০ থেকে ৩২০ মার্কিন ডলার। এখন তা বেড়ে ৫৫০ থেকে ৫৯০ ডলারে পৌঁছেছে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় দুই বছরের ব্যবধানে স্ক্র্যাপের দাম টনপ্রতি প্রায় ৮৪ শতাংশ বা ২৭০ ডলার পর্যন্ত বেড়েছে। অন্যদিকে ইস্পাতপণ্য তৈরিতে ব্যবহূত প্রধান রাসায়নিক ফেরো অ্যালয়সের প্রতি টনের দাম বেড়ে ১ হাজার ৪৫০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া পণ্য পরিবহনে কনটেইনার ভাড়া প্রায় চার গুণ বেড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে আগামী বাজেটে স্ক্র্যাপ (রড তৈরির প্রাথমিক কাঁচামাল) থেকে বিলেট (রড তৈরির মধ্যবর্তী কাঁচামাল) এবং বিলেট থেকে রড তৈরিতে ভ্যাটের পরিমাণ ১ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ২৫০ টাকা করার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি যেসব কারখানা স্ক্র্যাপ থেকে বিলেট তৈরির পর সেখান থেকে রড উৎপাদন করে, তাদের ভ্যাটের পরিমাণ ২ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৫০০ টাকা করার দাবি জানান।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে স্ক্র্যাপ আমদানিতে দেড় হাজার টাকা কাস্টমস ডিউটি ও ৫০০ টাকা অগ্রিম আয়কর (এআইটি) দিতে হয়। ব্যবসায়ীরা স্ক্র্যাপের কাস্টমস ডিউটি কমিয়ে ৫০০ টাকা এবং অগ্রিম আয়কর ১০০ টাকা করার প্রস্তাব করেন। অন্যদিকে রড তৈরির রাসায়নিক আমদানিতে বর্তমানে ৮০০ টাকা কাস্টমস ডিউটি ও ৫০০ টাকা অগ্রিম আয়কর দিতে হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।