Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নিয়ম মানছেন না ব্যবসায়ীরা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৭ এএম

রাজধানীর দোকানপাট-বিপণিবিতানগুলো সপ্তাহে একদিন পূর্ণদিবস ও একদিন অর্ধদিবস বন্ধ থাকার নিয়ম মানছেন না ব্যবসায়ীরা। যেসব এলাকায় গতকাল বুধবার দোকানপাট বন্ধ থাকার কথা সেসব এলাকায় যথারীতি সব দোকানপাটই ছিলো খোলা। বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তারা প্রতিদিনই দোকান খোলা রাখেন। শপিংমল ও বিপণিবিতানগুলোও নির্ধারিত অর্ধদিবস বন্ধের দিনে খোলা রাখা ব্যবসায়ীরা নিয়মে পরিণত করেছেন। এতে মার্কেটের মালামাল উঠানামা করার জন্য রাস্তায় সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে পিকআপভ্যান, ভ্যানগাড়ি, ঠেলাগাড়ি ও রিকশা। এতে এসব রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। দুর্ভোগে পড়ছেন পথচারী ও দূরদুরান্তে যাতায়াতকারী লোকজন।

অথচ রাজধানীতে যানজট কমাতে আর বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে ঢাকাকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে দোকানপাট, বিপণিবিতান বন্ধের দিন নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস হয় ২০১০ সালে। এরপর থেকে রাজধানীর নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট ও বিপণিবিতান এলাকাভিত্তিক আলাদা আলাদা দিন বন্ধ থাকছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে এক দিন পূর্ণ দিবস ও আরেক দিন অর্ধদিবস (বেলা দুইটা পর্যন্ত) দোকানপাট বন্ধ রাখতে হবে। আর বিপনিবিতানগুলো বন্ধ করতে হবে রাত আটটার মধ্যেই।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গেজেট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ১০৩ এবং ১১৪(১) ও বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫-এর বিধি ১০০ অনুযায়ী দোকান এবং বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে একদিন পূর্ণ দিবস ও আর একদিনের অর্ধ দিবস বন্ধ রাখার বিধান রয়েছে।
গতকাল বুধবার পূর্ণদিবস বন্ধের কথা ছিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, মধ্য ও উত্তর বাড্ডা, জগন্নাথপুর, বারিধারা, সাতারকুল, শাহাজাদপুর, নিকুঞ্জ-১, ২, কুড়িল, খিলখেত, উত্তরখান, দক্ষিণখান, জোয়ার সাহারা, আশকোনা, বিমানবন্দর সড়ক ও উত্তরা থেকে টঙ্গী সেতু এলাকার মার্কেট ও দোকানপাটগুলো। একই দিনে অর্ধদিবস বন্ধের কথা ছিল কাঁঠালবাগান, হাতিরপুল, মানিক মিয়া এভিনিউ, রাজাবাজার, মণিপুরিপাড়া, তেজকুনীপাড়া, ফার্মগেট, কাওয়ান বাজার, নীলক্ষেত, কাঁটাবন, এলিফ্যান্ট রোড, শুক্রাবাদ, সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, জিগাতলা, রায়েরবাজার, পিলখানা, লালমাটিয়া এলাকার মার্কেট ও দোকানপাটগুলো।
উত্তর বাড্ডার একতা ফার্নিচার মার্টের প্রোপাইটর মিজানুর রহমান বলেন, করোনার কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে কতদিনইতো বন্ধ রাখলাম। অনেক ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে দোকান খোলা রেখেছি। শুধু একতা ফার্নিচারই নয় খোলা ছিল এর পাশে থাকা সব ফার্নিচারের দোকান। এছাড়া হার্ডওয়্যার, জুতাসহ অন্যান্য দোকানও যথারীতি খোলা ছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ