Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বৈরী নীতিমালায় শঙ্কায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৭ এএম

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে গত দুই বছর ধরেই অস্থিরতা চলছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়। এ সময়টায় টিকে থাকার সংগ্রামে কেটেছে দেশের প্রায় ১৫ লাখ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর। চলতি বছরের শুরুতে আবারো ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। স্বাস্থ্যশঙ্কা ছাড়াও নানা রকম বিধিনিষেধ নিয়ে সঙ্কটে রয়েছেন এই ব্যবসায়ীরা। করোনার প্রভাব বৃদ্ধির ফলসূতিতে বড় ব্যবসায়ীরা নানা সহায়তা প্যাকেজ পেলেও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ছিলেন এসব আওতার বাইরে। এর মধ্যে নানা রকম দাবি আসছে নানা দিক থেকে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের অধিকাংশেরই দোকান চালানোর কোনো নির্দিষ্ট স্থান নেই। কিছুদিন পর পর জায়গা পরিবর্তন করতে হয়। এক কথায় তারা ভাসমান ব্যবসায়ী। তাদের পক্ষে হোল্ডিং নম্বর দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া অবাস্তব।
জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশের সভাপতি মির্জা নুরুল গনি শোভন বলেন, এই ধরনের নির্দেশনা অযৌক্তিক। বাংলাদেশে অলিতেগলি, গ্রামেগঞ্জে অনেক খুচরা বিক্রেতা আছেন। তারা অনেক কিছুই বিক্রি করেন। তাহলে তো এখন যতগুলো জিনিস বিক্রি করে সবগুলোর জন্য আলাদা আলাদা লাইসেন্স করতে হয়। একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যে কিনা কয়েক হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা চালান, তার পক্ষে কি দ্বৈত লাইসেন্স নেয়া সম্ভব বলেন। বিশেষ করে করোনাকালীন এই পরিস্থিতিটা আমাদের বিবেচনা করতে হবে। এমন হলে তো এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাণঘাতি করোনার প্রভাবে দেশের মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প খাতে মোট এক হাজার ২৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে প্রতিদিন। এর মধ্যে বড় ও মাঝারি শিল্পে প্রতিদিন ক্ষতি ৮১৪ কোটি টাকার। ছোট শিল্প খাতে ক্ষতি ২১০ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, বৃহৎ শিল্প খাতে সরকারি প্রণোদনা ছিল। আর পরে নতুন নতুন ব্যবসা ফিরতে শুরু করেছে। কিন্তু ক্ষুদ্র শিল্প সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে। অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা আর ব্যবসায় ফিরতে পারেননি। এই হার প্রায় ১০ শতাংশ। আবার যারা ফিরছেন তারাও কোনো আর্থিক সহায়তা পাননি। ধার করে ব্যবসা শুরু করেছেন পুনরায়।
সিগারেট খুচরা পর্যায়ে বিক্রির ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগে শঙ্কা প্রকাশ করে গত এপ্রিলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের কাছে চিঠি লিখেছে জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি। তাদের শঙ্কা, এমন উদ্যোগে এইখাত সংশ্লিষ্ট ১৫ লাখ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, খুচরা বিক্রেতাকে আরও কঠিন বাস্তবতার মধ্যে ফেলবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ