পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খেলাপি ঋণের মামলায় শুনানি পর্যায়ে বিবাদীপক্ষের অযৌক্তিক কালক্ষেপণ রোধ করতে হবে। সেই সঙ্গে মামলা দ্রæত নিষ্পত্তি করতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতিকে সফলভাবে কাজে লাগাতে হবে। বিচারকদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেছেন আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অর্থঋণ আদালতে কর্মরত যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজদের জন্য ভার্চুয়ালি আয়োজিত ১৪৪তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, অর্থঋণ আদালতের মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা হলে হাজার হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ অনাদায়ী থেকে যায়। উল্টো মামলাগুলোর পেছনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যেমন ব্যয় হয়, তেমনই ব্যবস্থাপনায় সৃষ্টি হয় জটিলতা। বিষয়টি বিবেচনা করেই অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ সংশোধন করে আদালতের বাইরে এডিআর পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিন্তু লক্ষণীয় যে, বিভিন্ন কারণে এ পদ্ধতির সফল প্রয়োগ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ঋণ খেলাপি মামলা দ্রæত নিষ্পত্তি করতে এডিআর পদ্ধতিকে আরও কার্যকরভাবে অনুসরণ করতে হবে। এর পাশাপাশি শুনানি পর্যায়ে বিবাদীর অযৌক্তিক কালক্ষেপণ রোধ, অর্থঋণ আদালত আইনের ৪৬(৫) ধারা মতে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে আদালত, সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সুষ্ঠু ও নিয়মিত সমন্বয় সাধন এবং বাদীপক্ষ/ডিক্রিদার পক্ষের সময় মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। এছাড়া ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ মঞ্জুরির বিষয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা ও লোন আদায়ে বাদীপক্ষের দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশের কোন্ আদালতে কতটি ঋণ খেলাপি মামলা রয়েছে, কেন তা নিষ্পত্তি হচ্ছে না এবং কী উদ্যোগ নিলে মামলা দ্রæত নিষ্পত্তি হবে, সে বিষয়ে তথ্য ও মতামত সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে নিশ্চয়ই এ মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়বে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো: গোলাম সারওয়ার এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালক গোলাম কিবরিয়া কর্মশালায় বক্তৃতা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।