পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ১৯৫২’র ভাষা আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আজ বিশ্বব্যাপী মাতৃভাষার মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তাদের আত্মত্যাগেই আমাদের মাতৃভাষার অধিকার, আমাদের পরিচয় এবং নিজস্ব সংস্কৃতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার নেতৃত্বেই আমাদের সব যুগান্তকারী আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালিত হয়েছে। অবশেষে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছি। মাতৃভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের জন্য তৎকালীন গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্তসহ সব ভাষা সৈনিকের অবদানের কথাও পররাষ্ট্র সচিব শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোর মাধ্যমে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তার নির্দেশনা এবং নেতৃত্বে এই গৌরবময় স্বীকৃতি অর্জন সম্ভব হয়েছে। তিনি একই সঙ্গে এই স্বীকৃতি অর্জনের জন্য তৎকালীন কানাডা প্রবাসী রফিক, সালামসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা বিশেষ করে, প্যারিসে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত প্রয়াত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাবেক কূটনীতিক সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর পুত্র সৈয়দ নাজিব মুস্তাফা আলী। এছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকরা নিজেদের মাতৃভাষায় অনুভূতি প্রকাশ করে ভাষা শহীদদের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।