পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ভাষা হচ্ছে মনের ভাব প্রকাশ করার সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম। শুধু মানুষই ভাষা ব্যবহার করে না; পৃথিবীতে যত প্রাণী রয়েছে সবারই নিজস্ব ভাষা রয়েছে এবং তারা সবাই তাদের জাত, ধর্ম এবং গোত্রের মধ্যে নিজস্ব ভাষাতেই কথা বলে। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা, আমাদের গর্ব ও আমাদের অহংকার।
আজ সোমবার সকাল ১০টায় পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় আলহাজ্ব মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ আল-আমিন সোহাগের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।এ সময় তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকে পাকিস্তানি শাসকরা বাংলা ভাষাকে আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে এসেছে, কিন্তু পারেনি। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত, শফিকসহ আরও অনেকে। ফলে পাকিস্তান সরকার ১৯৫৬ সালে বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। ভাষা আন্দোলন থেকেই জাগ্রত হয় জাতীয় চেতনা। আর এরই ফলস্বরূপ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয় দেশ। তাই বাংলা ভাষার সঠিক ব্যবহার ও প্রচলন নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম আরও বলেন, বাংলাদেশে নদী দূষণ এবং ভাষা দূষণ দুটোই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এবং ক্রমাগত বাড়ছে। যে ভাষার জন্য আমাদের পূর্বসূরিদের রক্ত দিতে হয়েছে, যে ভাষার জন্য জীবনবাজি রেখে আন্দোলন করে রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত, শফিকরা শহীদ হয়েছেন- আমরা কী সেই বাংলা ভাষাকে, বাংলা ভাষার চর্চা আদৌ সঠিকভাবে করতে পেরেছি? এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ নূর-উন-নাবী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি শওকত ওসমান, অর্থ সম্পাদক ক্বারি মুহাম্মাদ নাছির উদ্দীন, প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ তসলিম উদ্দিন রুবেল, প্রকাশনা সম্পাদক কৃষিবিদ মুহাম্মাদ নাজমুল ইসলাম, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুহাম্মাদ আবু বকর সিদ্দিক, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ শাহ পরান, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক এইচ এম গোলাম রাব্বি, মহিলা ও পরিবার সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াহাব, উপ-সম্পাদক হাসানুজ্জামান হিমেল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।