Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমি রেগে গেলে রাস্তায় তার প্রভাব পড়ে

দোয়া মাহফিলে শামীম ওসমান

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে : | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান তার বাবা একেএম শামসুজ্জোহার ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে বলেন, এর আগেও অনেক বার আমার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছি। এতদিন আমার কষ্ট লাগেনি। তবে, এখন কষ্ট লাগে। কয়েকদিন আগে আমার বাবা-মা ও বড় ভাইসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে শ্মশানের মাটি ফেলা হয়েছে। রাজনীতি মানে এবাদত। রাজনীতি মানে মানুষকে খুশি করে আল্লাহকে খুশি করা। এটা আমার বড় ভাই পেরেছিল, বাবাও পেরেছিল। আমরা হয়ত পারিনি। আমি রেগে গেলে রাস্তায় তার প্রভাব পড়ে। এখনও ডাকলে দুই-চার লাখ লোক আসে। মৃত্যুর আগে বাবা শেখ হাসিনার হাতে আমাদের হাত তুলে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে ওরা মারা গেলেও কোনো আফসোস থাকবে না। গতকাল শনিবার বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়নে একেএম শামসুজ্জোহার ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছি আমরা। তবে, ১৯৭৫ সালের পরে একবেলা ভাত খেয়েছি একবেলা খাইনি। ৯০০ টাকার জন্য ফরমফিলাপ করতে পারিনি। ইচ্ছে করলে নারায়ণগঞ্জের অর্ধেক কিনে নিতে পারতেন। পঁচাত্তরের পরে আমার মাকে গিফট করা হীরা মহলও বন্ধক রেখেছিলেন ১৯৭৪ সালে বাস্তবতা হলো সেদিন যা দেখেছি আগামীতে দেখবো জানি। সেদিন কোনো ধনী লোক এগিয়ে আসেনি। আদমজী মিলের শ্রমিকরা এক টাকা করে চাঁদা দিয়ে ছাড়িয়ে দিয়েছিল। বাবা বলেছিলেন বাড়িটা এখন আর আমার না তোমরা শ্রমিকের বাড়িতে বড় হচ্ছো। তাই তাদের জন্য কথা বলি। আপনারা আমার বাবা-মা ও বড় ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন এবং দোয়া করবেন আল্লাহকে খুশি করে আমি যেন মরতে পারি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ