পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ব্র্যাক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক জেরম ওব্রিয়েট। দুই দিনের সফরকালে আজ মঙ্গলবার প্রথম দিন (১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২) তিনি ক্যাম্প-১ ইস্ট, ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনে অবস্থিত ব্র্যাকের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সত্ত্বেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোহিঙ্গা ও হোস্ট কমিউনিটিতে জরুরি সেবা প্রদানের আহবান জানান।
এই সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম, এইচসিএমপির কর্মসূচির প্রধান রবার্টস শিলা মুথিনি ও কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানকালে জেরম ওব্রিয়েট বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে অবগত হন। এই সময় তিনি রোহিঙ্গা ও হোস্ট কমিউনিটিতে সরকারের সহযোগিতায় ব্র্যাকের জরুরি সহায়তা ও কার্যক্রমসমূহ জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এই দিন তিনি ক্যাম্প-১ ইস্টে অবস্থিত ব্র্যাকের হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন সেক্টরের-প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টার, ওয়াশ সেক্টরের-ওয়াটার নেটওয়ার্ক সুবিধা, ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনে মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোসামাজিক সহায়তা, কৃষি সেক্টরের আওতাধীন বাড়িঘরের বাগান, সুরক্ষা সেক্টরের আওতাধীন লিগ্যাল প্রটেকশান ও কমিউনিটি বেইজড প্রটেকশান এবং শিক্ষা সেক্টরের দোতলা শিক্ষাকেন্দ্রের কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে জেরম ওব্রিয়েট বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার শুরু থেকে সরকারের সহযোগিতায় ব্র্যাকের পক্ষ থেকে পানি, খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা, পুনর্বাসনসহ জরুরি সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বর্তমানে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সত্ত্বেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোহিঙ্গা ও হোস্ট কমিউনিটির মাঝে এসকল সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সঙ্কটকালীন সময়েও ব্র্যাক ভবিষ্যতেও জরুরি সেবাসমূহ অব্যাহত রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
এই দিন বিকালে জেরম ওব্রিয়েট কক্সবাজারের উখিয়ায় অবস্থিত আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনে যান এবং সেখানকার নারী শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত পণ্যের প্রক্রিয়া ও বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত হন।
এরপর ওইদিন রাতে তিনি কক্সবাজারের একটি হোটেলে ইন্টার-সেক্টর কোঅর্ডিনেশন গ্রুপ (আই-এসসিজি), জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ও মেডিসিনস স্যানস ফ্রন্টিয়ার্স এর বাংলাদেশস্থ শীর্ষ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়কালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি সংস্থাসমূহের সাথে ব্র্যাকের পারস্পরিক অংশীদারিত্বের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এদিকে আগামীকাল (বুধবার) সফরের শেষ দিন। এই দিন সকালে তিনি ইউনাইটেড ন্যাশনস সিলড্রেন ফান্ড (ইউনিসেফ), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিওএফপি) বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর ওই দিন দুপুরে তিনি কক্সবাজারে ব্র্যাকের এইসিএমপি কার্যালয়ে সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তাসহ সেক্টর লিডদের সাথে মতবিনিময় করবেন এবং তাঁদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। এই সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন ব্র্যাক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম, সংস্থাটির এইচসিএমপির এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হকসহ সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১০ই জানুয়ারি ব্র্যাকে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের পর এটিই তাঁর প্রথম রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।