পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঝিকরগাছার বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন তামান্না। বাঁ পা দিয়ে লিখে জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি। একইভাবে পিইসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। তিনি ঝিকরগাছার আলীপুর গ্রামের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন দম্পতির মেয়ে। তিন ভাইবোনের মধ্যে তামান্না বড়। দুই হাত ও এক পা নেই তার। শুধু বাঁ পা নিয়ে জন্ম নেওয়া তামান্না শারীরিক প্রতিবন্ধিকতাকে জয় করেছেন।
পা দিয়ে লিখে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া যশোরের ঝিকরগাছার অদম্য মেধাবী তামান্না নূরার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তামান্নার সঙ্গে চার মিনিট কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তামান্নাকে অভিনন্দন জানিয়ে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৬ মিনিটে তামান্নার মোবাইলফোনে কল করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তামান্নার ফোন বন্ধ পেয়ে তাকে একটি বার্তা পাঠান তিনি। একই দিন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানাও তামান্নার সঙ্গে কথা বলেছেন। তামান্নাকে নিশ্চিন্তে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বলেছেন শেখ রেহানা। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন তামান্নার বাবা রওশন আলী।
তিনি বলেন, ‘সোমবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা তামান্নার সঙ্গে কথা বলেন। সন্ধ্যায় ফোন দিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা দুজনে তিন-চার মিনিট করে কথা বলেছেন। দুজনই তামান্নার খোঁজখবর নেন এবং স্বপ্নপূরণে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।’
রওশন আলী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে তামান্নাকে অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেছেন, “তোমার নাম তামান্না, আসলেই তুমি নূর। তোমার পরীক্ষার ফলাফল সত্যিই অভূতপূর্ব”।’
রওশন আলী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে তামান্না আনন্দে কেঁদে ফেলে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন, “তুমি কাঁদছো কেন। তোমার স্বপ্নপূরণ হবে”।’
এ বিষয়ে তামান্না নূরা বলেন, ‘আমার চিঠি পেয়ে প্রধানমন্ত্রী কল দিয়েছেন। এইচএসসির ফলাফল শুনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “তুমি এগিয়ে যাও, আমি তোমার সঙ্গে আছি। তোমাকে যাবতীয় সহযোগিতা করবো। তোমার সাফল্যে আমি আনন্দিত”।’
তামান্না আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে একটি আবেদন করতে বলেছেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।