পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৈধভাবে ইউরোপের দেশ গ্রিস যাওয়ার পথ খুলল। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ৪ হাজার নতুন কর্মী নেবে গ্রিস। তাদেরকে ৫ বছর মেয়াদী ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হবে। আজ বুধবার রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনে দুই দেশের মধ্যে এ নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং গ্রিসের পক্ষে দেশটির মিনিস্টার অব মাইগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাসাইলাম প্যানাইয়োটিস মিতারাচি স্বাক্ষর করেন।
এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সচিব ড আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এবং রিপাবলিক অফ হেলেনিক গ্রিসের সেক্রেটারি জেনারেল অব মাইগ্রেশন পলিসি পেট্রোক্লস জর্জিওজিয়াডিস উপস্থিত ছিলেন।
এ সমঝোতা স্মারকের ফলে বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য গ্রিসে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হলো। একইসঙ্গে এই চুক্তির ফলে গ্রিসে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা পর্যায়ক্রমে বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন। এ চুক্তির আওতায় কৃষি সেক্টরে সিজনাল ওয়ার্কার নেওয়া হবে।
পরবর্তীতে উভয় দেশ আলোচনাক্রমে চাহিদার ভিত্তিতে সেক্টরের সংখ্যা বৃদ্ধি করবে। তাদের ৫ বছর মেয়াদ শেষে বাংলাদেশে ফেরত আসতে হবে। তবে তারা কর্মসংস্থানের জন্য গ্রিসে যেতে পারবেন। আবেদনের সময় বৈধ ট্রাভেল ডকুমেন্ট, বৈধ ওয়ার্ক কনট্রাক্ট, অসুস্থতাজনিত ইন্স্যুরেন্স এর প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে এবং নির্ধারিত ফি ও ব্যয় বহন করতে হবে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে গ্রিক মন্ত্রী জানান, এই চুক্তিটি গ্রিসের পার্লামেন্টে অনুমোদনের মাধ্যমে শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে।
এটাকে ইউরোপের কোন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রথম সমঝোতা স্মারক উল্লেখ করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী বলেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কর্মীরা নিরাপদে গ্রিসে গিয়ে বৈধভাবে কাজ করতে পারবে। বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর সম্পূর্ণ নিয়োগকারীদের ব্যয়ে গ্রিসে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো আগ্রহী ব্যক্তি যেন কোনোভাবে কোনো দালাল বা প্রতারকের খপ্পরে না পড়েন, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে তিনি উল্লেখ করেন।
গ্রিসের মিনিস্টার অব মাইগ্রেশন এন্ড এ্যাসাইলাম প্যানাইয়োটিস মিতারাচি বলেন, বাংলাদেশি কর্মীরা পরিশ্রমী হলেও মানবপাচারকারীরা তাদের ফাঁদে ফেলে সর্বশান্ত করছে। এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশি কর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে বলে উল্লেখ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, গ্রিসের মাইগ্রেশন পলিসির সেক্রেটারি জেনারেল পেট্রোক্লস জর্জিওজিয়াডিসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রবাসী কল্যাণ সচিব বলেছেন, ‘আপাতত শুধু কৃষিখাতে কর্মী নিলেও ভবিষ্যতে অন্যান্য খাতে নিয়োগের বিষয়ে আলোচনার পথ খোলা রয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদি ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষে কর্মীদের দেশে ফিরে আসতে হলেও পরবর্তীতে আবার কর্মসংস্থানের জন্য গ্রিসে যেতে পারবেন।’
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গ্রিসে চাকরির আবেদনের সঙ্গে বৈধ ট্রাভেল ডকুমেন্ট, বৈধ ওয়ার্ক কনট্রাক্ট, বিমার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। এর নির্ধারিত ফি ও ব্যয় বহন করতে হবে।
উল্লেখ্য, ‘গ্রিস ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ। দেশটির আইনে সর্বনিম্ন যে মজুরি নির্ধারণ করা রয়েছে, বেতন তার চেয়ে কম হবে না। সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ পাঁচ বছর। পরবর্তীতে মেয়াদ বাড়ানো যাবে।’
ইন্টারনেট পাওয়ার তথ্যানুযায়ী, গ্রিসে সর্বনিম্ন মাসিক মজুরি ৭৭৩ ইউরো; যা বাংলাদেশি প্রায় ৭৬ হাজার টাকার সমপরিমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।