পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কারাবন্দী আলেম-ওলামা ও হেফাজত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে বৈঠক করেছেন। আজ বুধবার বিকেল ৩টার দিকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের নায়েবে আমীর আল্লামা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, নায়েবে আমীর ও হাটহাজারী মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ইয়াহিয়া, নায়েবে আমীর দেওনার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরীস নদভী ও প্রচার সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দীন রাব্বানী।
বৈঠকে আলেম-ওলামা ও হেফাজত নেতাকর্মীদের মুক্তির জন্য হেফাজতের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়।
হেফাজতের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘যে সকল ওলামায়ে কেরাম, হেফাজতের নেতা-কর্মী ও ইসলামপ্রিয় জনতা বন্দি রয়েছেন, তাদের সকলের দ্রুত মুক্তি দানের আহ্বান জানাচ্ছি। তাদের বন্দিত্বের সময়কাল ১০ মাসেরও বেশি হয়ে গেছে। একেকজন বন্দির কারণে একেকটি পরিবার, কোনো ক্ষেত্রে একটি প্রতিষ্ঠান সমস্যাগ্রস্ত অবস্থায় আছে। কেউ একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এই অবস্থায় অবিলম্বে তাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।’
এছাড়াও বৈঠক থেকে হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে ২০১৩, ২০১৬ ও ২০২১ সালের সকল মামলা প্রত্যাহারের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়।
একইসাথে এই পর্যন্ত যারা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন, তাদের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানায় হেফাজত প্রতিনিধি দল।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল দীর্ঘসময় নিয়ে হেফাজত নেতৃবৃন্দের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং ওলামায়ে কেরামের মুক্তির বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। একই সাথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারাবন্দীদের সাথে পরিবারের লোকজনের সাক্ষাৎ ও যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় মামুনুল হকসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর করা মামলা ও গ্রেপ্তার নিয়ে কথা হয়। হেফাজত নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, তাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে নন। সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের কোনো আন্দোলনের কর্মসূচিও ছিল না। তাঁরা আরও বলেছেন, হেফাজতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ ছাড়া মাদ্রাসা খুলে দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন তাঁরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।