Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গ্রীষ্মের আগে এয়ার কন্ডিশনারের যত্ন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:১৬ পিএম

গ্রীষ্মকাল এখনো শুরু হয়নি, কিন্তু প্রকৃতি যেনো এরই মধ্যে জানান দিতে শুরু করেছে দাবদাহের কথা। আর কিছু দিন পরেই দুপুরের ভ্যাপসা গরম আর থমথমে আবহাওয়ার মধ্য দিয়েই দিনাতিপাত করবে নগরবাসী। এরকম পরিস্থিতিতে সারাদিনের কাজ শেষে বাসায় ফিরে একটুখানি শীতল পরশে প্রাণ জুড়াতে কে না চায়! শহরের উষ্ণতম দিনগুলোতে মানুষের প্রাণকে জুড়িয়ে দিতে এয়ার কন্ডিশনারের জুড়ি মেলা ভার। তাই গরমের দিনগুলোতে এয়ার কন্ডিশনারই মানুষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত হয়।

অন্যদিকে, শীত মৌসুমের তিন-চার মাস মানুষের মাঝে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা একদমই অনুভূত হয় না। এ কারণে এয়ার কন্ডিশনারগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে। ফলে, এ সময়ে এয়ার কন্ডিশনারগুলোর প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণও করা হয় না। দীর্ঘসময় রক্ষণাবেক্ষণ না করার অভাবে এয়ার কন্ডিশনারগুলোতে বিভিন্ন কারিগরি সমস্যা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। তাই, গরম আসার আগেই এয়ার কন্ডিশনারগুলোর যত্ন নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

গরমের শুরুতে এয়ার কন্ডিশনার চালানোর আগে একবার পেশাদার টেকনিশিয়ান দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো। এয়ার ফিল্টারে কোনো ময়লা জমেছে কিনা, বৈদ্যুতিক সংযোগ ঠিক আছে কিনা ইত্যাদি বিষয় নিশ্চিত হয়ে এয়ার কন্ডিশনার চালানো উচিত। আমাদের দেশে বায়ুতে প্রচুর ধুলাবালি জন্মে বলে এয়ার কন্ডিশনারের যত্ন বেশি করে নেওয়া প্রয়োজন। এই সময়টায়, অর্থাৎ যখন গরম শুরু হলো, তখন এয়ার কন্ডিশনারের বৈদ্যুতিক সংযোগ, সকেট, ফিল্টার এসবের অবস্থাটা ঠিকমতো পরীক্ষা করে নিতে হবে। শীতের পুরোটা সময় এয়ার কন্ডিশনার বন্ধ ছিলো। তাই, অনেক দিন বন্ধ থাকার পর চালু করতে গেলে এয়ার কন্ডিশনারের সংযোগ তার পরীক্ষা করে নিতে হবে। অনেক দিন বন্ধ থাকার কারণে চালু করলে এয়ার কন্ডিশনারের ভেতরে শব্দ হতে থাকে। আবার পানি পড়ার সমস্যাও দেখা দেয়।

দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকলে এয়ার কন্ডিশনারের ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হয় কুলিং বা ঠাণ্ডা করার ক্ষমতা কমে যাওয়া। এ সমস্যা কমানোর জন্য যে কাজটি প্রাথমিক পর্যায়ে করতে হবে তা হলো ভেতরের জাল খুলে ময়লা পরিষ্কার করে নিতে হবে। যারা এসি ব্যবহার করছেন, তারা নিজেরাই সাধারণ উপায়ে এর অভ্যন্তরীণ অংশ খুলে জাল পরিষ্কার করে নিতে পারেন। আর যদি দেখতে পারেন ঠাণ্ডা হওয়া একেবারে কমে গেছে, তাতে বুঝতে হবে এয়ার কন্ডিশনারের গ্যাস ফুরিয়ে গেছে। এই সময়ে এয়ার কন্ডিশনার যে প্রতিষ্ঠান থেকে কিনেছেন, তাদের গ্রাহকসেবা প্রদানকারী প্রতিনিধিদের মাধ্যমে গ্যাস রিফিল করে নিতে পারেন। বিক্রয়ের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এয়ার কন্ডিশনার সার্ভিস দেয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এরপর সার্ভিস চার্জ দিতে হয়।

বাংলাদেশে উন্নতমানের এয়ার কন্ডিশনার বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সিঙ্গার। সেবা প্রার্থীরা প্রতিষ্ঠানটির হেল্পলাইনে (০৯৬০৬৬০০৬০০০ কিংবা ১৬৪৮২) যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। উল্লিখিত নম্বরগুলোতে কল করে সিঙ্গারের এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারকারীদের সার্ভিসিংয়ের জন্য আগে থেকে অ্যাপয়নমেন্ট নিতে হবে। এরপর প্রতিষ্ঠানটির দক্ষ কারিগরেরা বাসায় যেয়ে ক্রেতাদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করবেন। এছাড়াও, তারা কীভাবে সঠিক নিয়মে এয়ার কন্ডিশনারের যত্ন নিতে হবে ক্রেতাদের তা নিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শও প্রদান করবেন। এছাড়া অন্য যে কোনো প্রয়োজনে, সিঙ্গারের এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারকারীরা প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিকটস্থ সার্ভিস সেন্টারের ঠিকানা জেনে নিতে পারবেন।

তাই, দেরি না করে গ্রীষ্মকাল শুরু হওয়ার আগে এয়ার কন্ডিশনারের শীতল হাওয়ায় প্রাণ জুড়াতে ঠিক করে ফেলুন আপনার এয়ার কন্ডিশনার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ