Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে অটোমেশনের বিকল্প নেই : ডিসিসিআই সভাপতি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৪:৫৩ পিএম

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, একমাত্র অটোমেশনই পারে ব্যবসা-বাণিজ্য সহ অন্যান্য খাতে সকল প্রকার দূনীতিরোধ পূর্বক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে। কর্পোরেট করের বিষয়ে তিনি বলেন, এলডিসি উত্তোরণের পূর্বে বাংলাদেশের কর্পোরেট কর হার আঞ্চলিক দেশসমূহের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করা প্রয়োজন এবং এলক্ষ্যে তিনি বিদ্যমান কর্পোরেট কর ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যথাক্রমে ৫% ও ৭.৫% হারে ক্রমান্বয়ে হ্রাসের আহ্বান জানান।

আজ (রোববার) ডিসিসিআই আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। প্রতিস্থানটির অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান সমসাময়িক অর্থনীতি বিষয়ক ১০টি বিষয়বস্তুর উপর বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরার, পাশাপাশি ২০২২ সালে ডিসিসিআই’র কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, এ বছর ঢাকা চেম্বার সিএমএসএমই, বেসরকারি বিনিয়োগ ও এফডিআই, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, সমুদ্র অর্থনীতি, দক্ষতা উন্নয়ন, ডিজিটাল এনগেইজমেন্ট, কর ব্যবস্থাপনা এবং এলডিসি উত্তোরণ প্রভৃতি বিষয় সমূহের উপর অধিক হারে গুরুত্বারোপ করবে।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, এলডিসি উত্তোরণের পর আমাদের রপ্তানিমুখী পণ্যের উপর শুল্ক হার বর্তমানের চেয়ে ৬-৭% বৃদ্ধি পেতে পারে, ফলে এখন থেকে আমাদের পণ্যের বহুমুখীকরনের সাথে সাথে বাজার সম্প্রসারণের উপর মনোযোগী হতে হবে। এছাড়া রপ্তানি বৃদ্ধিতে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজারের প্রতি আমাদের আরো মনোযোগী হওয়ার প্রস্তাব করেন।

তিনি বলেন, কোভিড মহামারী কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশেষকরে সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক, তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তির বিষয়টি আরো সহজীকরণ করা প্রয়োজন। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকার জন্য আমাদের মানবম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন ডিসিসিআই সভাপতি এবং এ ব্যাপারে গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে আরো বেশি হারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার উপর জোরারোপ করেন। সমুদ্র অর্থনীতিকে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় হিসেবে উল্লেখ করে তিনি জানান, আমাদের জিডিপিতে এখাতে অবদান রয়েছে ৩.১% এবং এ সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য একটি কার্যকর রূপকল্প প্রণয়নে দাবী জানান ডিসিসিআই সভাপতি।

রিজওয়ান রাহমান বলেন, এলডিসি উত্তোরণের পর বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বেশ প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে, এমতাবস্থায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পাশাপাশি পিটিএ এবং এফটিএ স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নেগোশিয়েশনের দক্ষতা আরো বাড়ানো অতীব জরুরী, সেই সাথে এফটিএ’র উপর আমাদের অধিক হারে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বিশেষকরে বিদ্যমান করকাঠামোর প্রতিবন্ধকতা নিরসন ও যুগোপযোগীকরণ, ক্রস-বর্ডার বাণিজ্য সম্প্রসারণে নীতি সহায়তা প্রদানের উপর জোরারোপ করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি। তিনি উল্লেখ করেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে আমাদের বেসরকারি বিনিয়োগ ছিল ডিজিপি’র ২১.২৫ শতাংশ এবং ২০২১ সালে এডিআই’র পরিমাণ ছিল ২.৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, এমতাবস্থায় বেসরকারি বিনিয়োগ এবং এফডিআই বৃদ্ধিতে কর্পোরেট কর কাঠামোর সংষ্কার, দ্রæততম সময়ের মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে সকল ধরনের সেবা প্রদান নিশ্চিতকরণ একান্ত অপরিহার্য বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, কোভিড মহামারী থাকা সত্বেও ২০২১ সালে আমাদের বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৫.৪৩ শতাংশ এবং পণ্য রপ্তানি, রেমিট্যান্স এবং বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহে বেশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।

ডিসিসিআই উর্ধ্বতন সহ-সভাপতি আরমান হক এবং সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ