Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যারেলপ্রতি ১২০ ডলার ছাড়াতে পারে

অনিশ্চিত জ্বালানি তেলের বাজার

দ্য ইকোনোমিস্ট | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৮ এএম


সম্প্রতি এক ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৯০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা বিগত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ওয়াল স্ট্রিট বিশ্লেষকরা এ বছরের জন্য তেল-মূল্যের পূর্বাভাসে বলেন যে, প্রতি ব্যারেল জ¦লানি তেলের দর ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

বর্তমানে তারা বলছেন যে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ক্রমবর্ধমান আশঙ্কার পটভ‚মিতে (বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রফতানিকারক রাশিয়া ‘অর্গানাইজেশন অফ পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিস’-এর বর্ধিত অংশের সদস্য, যা ওপেক+ নামে পরিচিত) দাম ১২০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। ইউক্রেন সঙ্কট সম্ভবত সরাসরি সরবরাহ ব্যাহত না করলেও রাশিয়ার জ¦ালানি বাণিজ্যের ওপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা অস্বাভাবিক এই দর বৃদ্বির প্রধান কারণ। ভ‚-রাজনৈতিক সঙ্কটের পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক এনার্জি এজেন্সি মনে করে যে, জ¦ালানি তেলের ব্যবহার তার বর্তমানের ৯৭ মিলিয়ন ব্যারেল দিন প্রতি (বিপিডি) থেকে বছরের শেষ নাগাদ ১০০ মিলিয়ন ব্যারেল হবে, এমনকি বিশ্বব্যাপী বিমান চলাচল পুরোপুরি চালু হওয়ার আগেই।

গোল্ডম্যান স্যাক্সের ড্যামিয়েন কুরভালিন বলেছেন, ‘গ্রাহকরা গ্যাস থেকে তেলে চলে এসে (যার দাম ইউরোপে আকাশচুম্বী) ১ মিলিয়ন বিপিডি পর্যন্ত চাহিদা বাড়িয়েছে, যার ফলে মজুদ সঙ্কট তৈরি হয়েছে।’

গবেষণা সংস্থা বøুমবার্গএনইএফ অনুসারে, ডিসেম্বরে ওপেক+ অনুমোদিত কোটার চেয়ে দিনে ৭ লাখ ৪৭ হাজার কম ব্যারেল তেল উৎপাদন করেছে। তথ্য সংস্থা গেøাবাল প্ল্যাটস-এর পল শেলডন বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা মাত্র ২.৬ মিলিয়ন বিপিডি এবং ওপেক এবং এর মিত্রদের প্রতিশ্রæত ৪ লাখ ব্যারেল বিপিডির ওপর ভরসা রাখা যাচ্ছে না।

তবে, যদি রাশিয়ার তেল রফতানি বন্ধ না করা হয়, তবে ভ‚-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাব গ্রীষ্মের মধ্যে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ততদিনে যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত তেলের উৎপাদন এবং চাহিদা কমিয়ে সুদের হার বাড়িয়ে দেবে, ঠিক যেমন ওপেক+ থেকে অতিরিক্ত সরবরাহ বাজারে আসে।

এদিকে, ইরানের পরমাণু সমঝোতার পুনঃসূচনা হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিচ্ছে। ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার সংশ্লিষ্ট প্রত্যাহারের ফলে বিশ^ বাজারে তেলের সরবরাহ আরও ১ মিলিয়ন বিপিডি বাড়তে পারে। কিন্তু এই মুহূর্তে তেলের বাজারে দর বৃদ্বির আসল ওয়াইল্ড কার্ড হল শেল।

২০১৪ পর্যন্ত যখন ওপেক তেল-মূল্যের হ্রাস ঘটিয়েছিল, শেল উৎপাদনকারীরা উৎপাদন বাড়াতে অর্থায়ন করে যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারীতে পরিণত করেছিল। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা, যারা সে সময় দর পতনের কারণে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার লোকসান গুণেছে, তারা এখন উচ্চ হারে লাভ দাবি করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ