Inqilab Logo

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সমাবেশ সামনে রেখে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে -মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ৭ নভেম্বরের ঘোষিত সমাবেশ নিয়ে সরকারি দলের নেতাদের নানা-রকম বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে সরকারের কাছ থেকে ‘ইতিবাচক’ সাড়া পাবে বলে আশাবাদী বিএনপি। একই সঙ্গে দলটি অভিযোগ করেছে যে, এই সমাবেশকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

বুধবার দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিঙে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা জানান।

তিনি বলেন, আমরা ঢাকায় সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের সমাবেশ করবো। ইতিমধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করছি। আমরা আশা করছি, অনুমতি পেয়ে যাবো। সরকার এখন পর্যন্ত নেগেটিভ কিছু বলেননি। আমরা আশাবাদী, সরকার এটাতে পজিটিভ রেসপন্স করবেন। একই সঙ্গে এও আশা করছি, সরকার মুখে যে গণতন্ত্রের কথা বলেছেন, বিশেষ করে কাউন্সিলে তারা যে গণতন্ত্রের কথা উচ্চারণ করেছেন, সেটার প্রতি সম্মান দেখানোর জন্যই আমাদের যে সমস্ত গণতান্ত্রিক যে কর্মসূচি সেগুলোতে তারা কোনো বাঁধার সৃষ্টি করবেন না। আমরা যেন গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারি, সেই সুযোগ তারা সৃষ্টি করে দেবেন।

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী ও জনতার বিপ্লবে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা কেন্দ্র বিন্দুতে আসেন। এ দিবসটিকে বিএনপি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। যদিও আওয়ামী লীগসহ জাসদ দিবসটি মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে।

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগামী ৭ নভেম্বরে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের সমাবেশ সফল করা উপলক্ষে ঢাকা জেলাসহ আশা-পাশের জেলার নেতাদের সাথে এই বৈঠক হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, ইতিমধ্যে সমাবেশকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। আমরা আগেই বলেছি, গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না বলেই এই ধরণের সমস্যাগুলো হয়। একটা সমাবেশ করা হবে, তার জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ট করা হচ্ছে।আমি আশা করি এর তারা(সরকার) এ থেকে তারা সরে আসবেন। এটা সবাই আমরা চাই। সেটা যদি করা যায়, তা বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে।

৭ নভেম্বরের পূর্বে দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, ঢাকা জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করীম পলসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিও জানান বিএনপি মহাসচিব।

সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে সমাবেশ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যের প্রতি ইংগিত করে তিনি বলেন, কয়েকজন নেতা, তাদের ভাষা স্বৈরাচারী ভাষা। একদলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে তারা রাজনীতি করছেন। আমরা বার বার বলেছি, আমরা সংঘাতের রাজনীতি চাই না। আমরা গণতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চাই। আমরা একটা সুন্দর গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্ট করতে চাই।

যশোরের মনিরামপুরের শ্রমিক দলের নেতা আনিসুর রহমানকে গত সোমবার সাদা পোশাকধারী সদস্যরা গ্রেপ্তার করার পর বুধবার তাকে ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা জেলার দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন, খন্দকার আবু আশফাক, গাজীপুরের ফজলুল হক মিলন, সাইয়েদুল আলম বাবুল, টাঙ্গাইলের গৌতম চক্রবর্তী, শামসুল আলম তোফা, নরসিংদীর বদরুজ্জামান খসরু, নারায়ণগঞ্জের তৈমুর আলম খন্দকার, মানিকগঞ্জের মইনুল ইসলাম শান্ত, জিয়াউর রহমান খান, মুন্সিগঞ্জের আবদুল হাই, আলী আজগর রিপন মল্লিক, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম খান, মুনির খান, নিপুন রায় চৌধুরী, এম এ কবির জিন্নাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ