Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

এলডিসি পরবর্তী বাড়তি রাজস্ব চাহিদা মেটাতে কর প্রদান সহজ করার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:৫৯ পিএম

এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশ হবার পরে, বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে বাড়তি রাজস্বের প্রয়োজন হবে। অতিরিক্ত রাজস্বের লক্ষ্য অর্জন করতে কর পরিশোধ পদ্ধতি সহজ করার জন্য এনবিআরকে আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন।

আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বাংলাদেশের ভ্যাট ব্যবস্থাপনার অবকাঠামোগত সংস্কার, ভ্যাট নেট বৃদ্ধি, ভ্যাটের প্রবৃদ্ধির সম্ভাব্যতা যাচাইপূর্বক প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়নের নিমিত্তে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠিত কমিটির সাথে এফবিসিসিআই’র বৈঠকে এ আহ্বান জানান সভাপতি।

এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত বৈঠকে অনলাইনে যোগ দিয়ে সভাপতি বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এলডিসি গ্রাজুয়েশন এর পরে, বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধি জরুরি। সেজন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার, ব্যবসা ও বিনিয়োগ বান্ধব কর ব্যবস্থাপনা ও ট্যারিফ যৌক্তিকীকরণ, রপ্তানি বহুমুখীকরণ এর দিকে বিশেষ নজর দেয়া দরকার।

এজন্য আওতা সম্প্রসারণ করে এবং করহার কমিয়ে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য কৌশলগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান মোঃ জসিম উদ্দিন। ভ্যাট পরিশোধের ক্ষেত্রে ক্রেডিট সমস্যার সমাধান করে সুষম ভ্যাট ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন সভাপতি।

ভ্যাট ব্যবস্থাকে পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় করার আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, অর্ধেক ব্যবস্থা ডিজিটাল করে বাকি অর্ধেক ম্যানুয়াল থাকার কারণে হয়রানি কমছেনা, ডিজিটাইজেশনের সুফলও পাওয়া যাচ্ছেনা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন কার্যক্রমকে অংশগ্রহণমূলক করতে বিভাগীয় পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার করার পরামর্শ দেন তিনি।

এনবিআর গঠিত কমিটির আহবায়ক ও কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আব্দুর রউফ জানান, মূসক ব্যবস্থার স্বয়ংক্রিয়করণ, সহজীকরণ, সুশাসন, ও ভৌত অবকাঠামো নির্মাণকে গুরুত্ব দিয়ে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। আগামী পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হবে সম্ভাব্য সর্বনিম্ন ভ্যাট হার নিশ্চিত করা ও সর্বোচ্চ আওতা বাড়ানো।

এফবিসিসিআই’র পরিচালক আবুল কাশেম খান বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের কম্পিউটার ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই এনবিআর’র পক্ষ থেকে বিনামূল্যে মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে দিলে, ভ্যাটের অটোমেশন প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন সহজ হবে।

সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিয়ে স্থানীয় শিল্পের উন্নয়নের সুযোগ দেয়া ভ্যাটের মূলনীতি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই’র আরেক পরিচালক মোঃ নাসের।

ভ্যাটের সর্বনিম্ন হার শুন্য ও সর্বোচ্চ হার ৫ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানান এফবিসিসিআই’র পরিচালক ড. নাদিয়া বিনতে আমিন। এছাড়া ই-চালানে ভ্যাট কোডের ব্যবস্থা রাখার সুপারিশ করেন তিনি।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী চেম্বারের সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক আলী হোসেন শিশির, বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ