Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফেসবুক পোস্টে ভাইরাল হাতে পেলেন নিয়োগপত্র

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

ফেসবুকে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র - ছাত্রী পড়ানোর বিনিময়ে সকাল ও দুপুরে ২ বেলা খাবার চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অনলাইনে ভাইরাল হওয়া আলমগীর কবিরকে চাকরি দিয়েছেন বগুড়ার পুলিশ সুপার।
গতকাল বুধবার দুপুরের পর আলমগীর কবিরকে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী তার অফিসে ডেকে পুলিশ প্লাজার ফ্লোরে চেইন সুপার শপ সপ্ন - এর আউটলেটে চাকরির নিয়োগপত্রও হাতে তুলে দেন।
তবে শেষ পর্যন্ত সে এই চাকরিতে যোগদান করবে কিনা বা করলেও সে সেখানে থাকবেন কিনা তা নিয়ে তার বন্ধু মহল সংশয় প্রকাশ করছেন।

তার বন্ধুরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন , আলমগীর কবীরের সার্টিফিকেট নেম আলমগীর হোসেন। তবে ফেসবুক আইডিতে তিনি নিজের নাম লিখেছে আলমগীর কবীর।
রাষ্ট্র বিজ্ঞানে তিনি বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে অনার্স মাষ্টার্স করলেও অনার্সের ফলাফলে সারাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেনি। একই কথা বলেছেন তার প্রাক্তন শিক্ষকরা।
এদিকে আলমগীরের ফেসবুক পোস্টগুলো দেখে মনে হয়েছে সে পুরোপুরি হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্ট হিমু চরিত্রেরই বাস্তব রূপ। অনেকেই তাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন।

কেউ কেউ বলেছেন, ছেলে খেলার বশে আলমগীরের পোস্ট নিয়ে ভারতের আনন্দ বাজার পত্রিকায় যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের দারিদ্রতা নিয়ে সুক্ষ্ম কটাক্ষ করা হয়েছে।
আনন্দ বাজার পত্রিকার কাটিং নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে আলমগীর লিখেছেন, ‹আমি এখন বিব্রত বোধ করছি, নিরাপত্তা নিয়ে শংকায় আছি। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে সে আরও বলেছে, প্লিজ স্টপ দিজ।



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:৪৬ এএম says : 0
    মাথা পিছু আয় 3089 ডলার তার পর ও দেখা যাচ্ছে অনেক বড় বড় ইউনিভার্সিটি হতে সার্টিফিকেট নিয়ে দুই বেলা ভাতের বিনিময়ে কাজ খোঁজেন,শিক্ষার কি মূল্য আছে এই দেশে,আবার মাঝে মধ্যে হিতাকাঙ্ক্ষী হয়ে এক দুই জনকে চাকরি দিয়ে থাকেন,আবার পত্র পত্রিকায় নজর আসলে,তাহা হলে কি শিক্ষার কি মূল্য নেই,দেখা যাচ্ছে চাকরি পেতে হলে পত্র পত্রিকায় এই ভাবে দেখানের পরে চাকরি পাবে,নয় তো না,দেশের ভিতর বর্তমানে চাকরি যে পদেই হবে,দলীয় ভাবে হয়ে থাকে আবার পাঁচ দশ লাখ এবং উপরে মামা ও থাকতে হয় ,এইটি কি দেশ আসলেই আগে এই গুলি ছিল না,সব দোষ জনগণের এরা কি জন্য,দেশে দলীয় আমলাতান্ত্রিক চৌরাচার দলীয় সংসদীয় পদ্ধতি করেছেন,যখন রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি ছিল এই সমস্ত কিছু ছিল না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ