পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাকের পার্টি চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সল নির্বাচন কমিশন আইনকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন, এটি প্রথম পদক্ষেপ মাত্র। এটাই শেষ কথা নয়। সমস্যা কোথায় তা বের করতে হবে। আমি আগেও বলেছি, কোন ব্যক্তিই নিরপেক্ষ নয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তারাবো বিশ্বরোডে দিঘীবরাবর এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা খাতে জাকের পার্টির কর্মসংস্থান প্রকল্প-সিপিএইচডি হেলথ কেয়ার লিমিটেডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে জাকের পার্টির অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত এ স্বাস্থ্যসেবা খাতের উদ্বোধন করেন মোস্তফা আমীর ফয়সল। এ সময় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সায়েম আমীর ফয়সল তাঁর সাথে ছিলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাকের পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শামীম হায়দার, পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এজাজুর রসুলসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জাকের পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক চলতেই থাকবে। আমি আতংকিত এ আইন নিয়ে। এ আইনকে কেন্দ্র করে আবার না হিংসা, হানাহানি, মারামারি শুরু হয়। কারণ যারা দেশ ও জাতির স্বার্থবিরোধী তারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে শুধু অযুহাত খুঁজে বেড়ায়।
তিনি আরো বলেন, মনে রাখতে হবে, কোন ব্যক্তিই নিরপেক্ষ নয়। যে পদেই তিনি থাকুন না কেন, মন মননে তিনি কোন না কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক। কাউকে না কাউকে তিনি ভোট দেন। কাজেই এই বিতর্কের অবসান ঘটাতে বিতর্কমুক্ত ভোট গ্রহণ ও ফলাফল নিশ্চিতে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযু্িক্ত ব্লক চেইন টেকনোলজি প্রয়োগ এবং ই-ভোটিং এর কোন বিকল্প নেই।
মোস্তফা আমীর ফয়সল ব্লক চেইন পদ্ধতির অপরিহার্যতা বিশ্লেষণ করে বলেন, আমরা অনলাইনে ক্রিকেট খেলার রান, কত হলো তা যেমন দেখতে পাই। তেমনি ব্লক চেইন টেকনোলজি এবং ই-ভোটিং এর মাধ্যমে জনগণ ঘরে বসেই হাতের মোবাইলে কোন দল বা কোন প্রার্থী কত ভোট পেল তা সরাসরি জানতে পারবেন। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো যদি নিজ নিজ দলের রেজিষ্টার্ড সদস্য এবং স্বীকৃত ভোটারদের নাম, আইডি নম্বর, ছবি এবং স্বাক্ষরযুক্ত ডাটাবেজ তৈরি করে এবং নির্বাচন কমিশনে তা জমা দেয়, নির্বাচন কমিশন যদি তা এ্যাপস তৈরির মাধ্যমে নির্বাচনের ৬ মাস আগে জনগণের কাছে প্রকাশ করে দেয়। তাহলে জানা হয়ে যাবে কোন দলের কত সংরক্ষিত ভোট আছে। নির্বাচনের পরে ফলাফল নিয়ে তখন আর বিতর্ক থাকবে না।
জাকের পার্টি চেয়ারম্যান অর্থবহ গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক ভিত শক্তিশালী ও মজবুতকরণে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, জাকের পার্টি অবশ্যই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এক ভোট পেলেও করবে, এক লাখ ভোট পেলেও করবে। আমরা কখনই জনবিচ্ছিন্ন হবো না। জ্বালাও পোড়াও করবো না।
এর আগে মোস্তফা আমীর ফয়সল স্বাস্থ্যসেবা খাতে জাকের পার্টির এই কর্মসংস্থান প্রকল্পের উদ্যোগ প্রসঙ্গে বলেন, সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের উন্নয়নের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। বেকারত্বের অবসান ঘটাতে কাজ করতে হবে। কারণ, সরকারের একার পক্ষে জনগণের সর্বাত্মক কল্যাণ সম্ভব নয়। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকেও গতানুগতিক ধারা পরিবর্তন করে জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টির রাজনীতির প্রবর্তন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের যে বিপুল জনসংখ্যা এবং ভবিষ্যতে এর সংখ্যা কোথায় যেয়ে দাঁড়াবে এবং তখন কি হবে সেই চিন্তা এখন থেকেই করতে হবে। সেই লক্ষ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারকেও যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের মধ্যে ঐকমত্য নেই। এক সময় কিন্তু ঐকমত্য হবে। তখন আর সময় থাকবে না। তাই আমার আহ্বান- শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়া নয়, আন্দোলন করা নয়, পরস্পর পরস্পরকে আক্রমণ করা নয়, মানুষের মনে কষ্ট দেয়া নয়, গুণগত পরিবর্তনের সূচনা ঘটাতে হবে। তাই দেশ ও জনগণের কল্যাণে সকল ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক দলগুলোর উন্নয়নভিত্তিক কাজ করা উচিত।
জাকের পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি দেশবাসীর মন জয় করতে চায়, দেশবাসীর সমর্থন ও ভালোবাসা চায় তাহলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জনগণের জন্য উন্নয়নের পদক্ষেপ বাস্তবায়নের পথেই জনগণের হৃদয় ও মন জয় করতে পারবে। আর এভাবে জনগণকে জয় করে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে পারে।
মোস্তফা আমীর ফয়সল গতানুগতিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির গুণগত পরিবর্তনের অপরিহার্যতা তুলে ধরে বলেন, একে অপরকে দোষারোপ করা, কাঁদা ছোড়াছুড়ি এসব পরিত্যাগ করে কোন দল জনগণের জন্য সরকারের পাশাপাশি উন্নয়ন করেছে, সেই উন্নয়নের উপরে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিতর্কে আসুন। জনগণের পাশে দাঁড়ান। আসুন এভাবে আমরা বদলে দেই গতানুগতিক ধারা। তা না করলে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে দায়ী থাকবো। মৃত্যুর পরে তাদের সমালোচনার মুখে পড়বো আমরা।
জাকের পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, আজ দেশে ধনী দরিদ্র্যের যে ব্যবধান রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে তা কমিয়ে আনতে হবে। আমরা ধনীদের বিরুদ্ধে বলছি না। তারা ধনী থাকুক, তবে তাদের নিজ নিজ এলাকার সাধারণ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে অবশ্যই তাদের বিনিয়োগ করা উচিত এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা উচিত।
মোস্তফা আমীর ফয়সল স্বাস্থ্যসেবা খাতে জাকের পার্টির এই কর্মসংস্থান প্রকল্পের সফলতার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে সারাদেশে প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সম্মানজনক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবো ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, বেকারত্ব দূরীকরণ করতেই হবে। উদ্যোক্তা সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করতেই হবে। তিনি বলেন, আমাদের এই প্রকল্প উদ্যোক্তা সৃষ্টির পদক্ষেপ।
জাকের পার্টির কর্মসংস্থান প্রকল্পের আন্তরিক দিকগুলো তুলে ধরে জাকের পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সায়েম আমীর ফয়সল বলেন, আমাদের পলিটিক্যাল ব্রান্ড হচ্ছে মানুষের কল্যাণে কাজ করা। তিনি বলেন, সারাদেশে জাকের পার্টির আড়াই লাখ নিবেদিত কর্মী এবং ১২ লাখ সদস্য রয়েছে। আমরা তাদের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি এবং দেশবাসীর কল্যাণে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাব। তিনি বলেন, দরিদ্র মানুষ জমি বিক্রি করে দেশে বা বিদেশে ব্যয়বহুল চিকিৎসা করে যেন সর্বশান্ত না হয় সেদিকটা আমাদের বিবেচনায় আছে। তাই সিপিএইচডির এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা স্বল্প ব্যয়ে ধাপে ধাপে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জনগণের দোঁড়গোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে চাই। আমরা বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (বিএনএইচএস) প্রবর্তন করে সকলের জন্য স্বাস্থ্য বীমা করতে পারি।
ড. সায়েম আমীর ফয়সল বলেন, বাংলাদেশে ৬ লাখ কোটি টাকার বাজেট আছে। সত্যিকার অর্থে যদি এই অর্থের সুষম বণ্টন হয়, তাহলে বাংলাদেশে দারিদ্র থাকে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।