পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পূর্বাচলে অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রবেশের টিকিট বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৭ লাখ। ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি (বুধবার) পর্যন্ত মোট ২৬ দিনে ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবে রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি নিষেধের কারণে দর্শনার্থী কমেছে। আর তাতে প্রত্যাশা অনুসারে টিকিট বিক্রি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে গতকাল শুক্রবার মেলার ইজারাদার ও মেসার্স মীর ব্রাদার্সের অপারেশনাল ম্যানেজার ছায়েদুর রহমান (বাবু) জানান, বুধবার পর্যন্ত মোট ২৬ দিনে এবারের মেলায় মাত্র সাড়ে ৭ লাখ দর্শনার্থীদের কাছে টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ১৫ দিনেই সাড়ে ৬ লাখ টিকিট বিক্রি হয়েছিল। বাকি ১০-১১ দিনে বিক্রি হয়েছে মাত্র ১ লাখ টিকিট।
তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা অনুসারে মেলায় দর্শনার্থী আসেনি। এ কারণে টিকিট ও বিক্রি কম হয়েছে। এ বছরের সর্বোচ্চ টিকিট বিক্রি হয়েছে ১৪ জানুয়ারি শুক্রবার। ওই দিন সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। পরের দিন শনিবার বিক্রি হয়েছে ৪২ হাজার টিকিট।
দর্শনার্থী কিংবা টিকিট বিক্রি কমার বিষয়ে ছায়েদুর রহমান বলেন, ওমিক্রন রোধে সরকারের কঠোর বিধি নিষেধের পর, নতুন করে অফিস-আদালত অর্ধেক জনবল দিয়ে পরিচালনা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে করোনা আতঙ্কে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি কমেছে।
এবারের মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড় কমাতে টিকিট বিক্রির জন্য ৩০টি কাউন্টার দেওয়া হয়েছে। এই কাউন্টারগুলোর একটিতে টিকিট বিক্রেতা আনিছুর রহমান বলেন, ১০ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত মেলায় কিছু টিকিটি বিক্রি করেছেন। এরপর থেকে দিনে এক হাজার, দুই হাজার টাকার টিকিটও বিক্রি হচ্ছে না। মানুষ আসছে না, কার কাছে টিকিট বিক্রি করবো।
ইপিবির সচিব ও মেলার পরিচালক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, মেলায় দর্শনার্থী আসা কমেছে। তবে যারাই আসছেন তারা হাতে কিছু না কিছু নিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য মেলায় দেশি-বিদেশি মোট ২২৫টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে বিদেশি ৬টি স্টল ও ৪টি মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। বাকিগুলো দেশি স্টল। এবারও প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন, জেনারেল স্টল, ফুডকোর্ট, মিনি স্টল, প্রিমিয়ার স্টল ক্যাটাগরি রয়েছে। মিলনায়তনের ভেতরে নিজস্ব একটা ক্যাফেটেরিয়া রাখা হয়েছে। সেখানে একসঙ্গে ৫০০ লোক বসে খাবার খেতে পারেন।
প্রবেশমূল্য ও সময় : মেলা চলছে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে ছুটির দিনে মেলা চলে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। এবার প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ৩০টি কাউন্টার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিকাশের কাউন্টার রয়েছে ১৫-২০টি। কেউ বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুললে একটি টিকিট ফ্রি দিচ্ছে। আবার কাউন্টারে না গিয়ে কেউ যদি বিকাশে টিকিট নেন তাদের জন্য ৫০ শতাংশ ছাড় রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।