পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার চেয়ে দেশে ১০ থেকে ২০ গুনের বেশি মৃত্যু হয় অসংক্রামক রোগে। সংক্রামক রোগে চেয়ে অসংক্রামক রোগে অনেক বেশি মানুষের মৃত্যু হলেও সংক্রামক রোগের প্রতি গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়। দেশে মোট মৃত্যুর ৭০ শতাংশ মারা যায় অসংক্রামক রোগে। এদিকে গুরুত্ব না দিলে ২০৪০ সালে এই হার ৭০ থেকে বেড়ে ৮০ শতাংশে উঠে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অসংক্রামক রোগ নিয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতন হতে হবে। তা না হলে রোধ করা সম্ভব না। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে প্রথম জাতীয় অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্মেলণের দ্বিতীয় দিনের বিভিন্ন পর্বে যোগ দিয়ে বিশিষ্ট জনেরা ও বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামসহ ৩০টি দেশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও পিওর আর্থের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মাহফুজুর রহমান।
সম্মেলনে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন মাহমুদ বিভিন্ন গবেষণা তথ্যের বরাত দিয়ে বলেন, দেশে এই মুহুর্তে ৮.৪ মিলিয়ন মানুষ ডায়বেটিসে আক্রান্ত। তাদের শুধু ইনসুলেন্সের জন্য বছরে খরচ হচ্ছে ১৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। শুধু ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে অণ্য বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।
একটি গবেষণার বরাত দিয়ে বলেন, চিকিৎসার ক্ষেত্রে ৬৭.৫ ভাগ অর্থ জনগন পকেট থেকে ব্যয় করে। এটি নিসন্দেহে অনেক বেশি। এখানেও একটি হিসেব বারবার বাদ পড়ে যায়। যারা সরকারী কর্মচারী রয়েছেন তাদের জন্য সরকার প্রতিমাসে হেলথ অ্যালাউন্স দিয়ে থাকে দেড় হাজার থেকে আড়াই হাজার পর্যন্ত। এটির পরিমাণও ছয়হাজার কোটি টাকা। গবেষণার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যত মৃত্যু হয় তার ৭০ ভাগই অসংক্রমামক রোগে। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। ২০৪০ এটা এই হার হয়তো ৮০ শতাংশে উঠে যাবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর ডা. সামিউল ইসলাম সাদি বলেন, অসংক্রামক রোগ আমাদের জীবনযাত্রার সাথে জড়িত। আমরা জীবনযাত্রার মানে পরিবর্তন আনি তাহলেই কিন্তু আমরা এটা থেকে অনেকাংশে ভালো থাকতে পারি। আমরা যদি নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ না করি, স্থুলতা, ধুমপান পরিহার না করি, হাটাচলা না করি, ব্যায়াম না করি, ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পরি, তাহলে হাসপাতাল তৈরি করে কখনো আমরা রোগী চাপ সামাল দিতে করতে পারবো না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।