পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবিলম্বে মাদরাসা-ই-আলিয়ার জমিতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর স্থাপনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন। মাদরাসার জমিতে মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর স্থাপনের পরিকল্পনা করে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার চμান্ত বরদাশত করা হবে না। গতকাল রোববার দুপুরে সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আলিয়া মাদরাসার জমির ওপর মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর স্থাপনের পরিকল্পনা বাতিলের দাবিতে মাদরাসা-ই-আলিয়া ঢাকার প্রাক্তন ছাত্র ফোরাম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রাক্তন ছাত্র ফোরামের সদস্য সচিব মাওলানা মোহাম্মদ সুরুজুজ্জামান। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের আহবায়ক মাওলানা আজিজুল হক মুরাদ, মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাঈল ফারুক, মাওলানা আমিনুল হক, মাওলানা হাবিবুল্লাহ খান, মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইয়ূম, শহিদুল ইসলাম কবির, মাওলানা মোখতার আহমাদ খান, মাহমুদুল হাসান ও জুবায়ের আহমদ।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন,দীর্ঘ ৬৬ বছর অতিবাহিত হলেও মাদরাসা-ই-আলিয়ার আর কোন অবকাঠামোগত উল্লেখযোগ্য নির্মাণ কাজ পরিলক্ষিত হয়নি। বর্তমানে এখানে প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। অথচ শিক্ষার্থীদের জন্য মাত্র জরাজীর্ণ এবং বসবাসের অনুপযোগী একটি হল যা ৩৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য বরাদ্দ। সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপুল অর্থ বরাদ্দ করলেও সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়া ঢাকা বরাবরই রয়েছে অবহেলিত ও বঞ্চিত। বর্তমানে মাদরাসার ৪ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত আবাসিক হল এবং ক্যাম্পাস মিলে নাম মাত্র দুটো ভবন ছাড়া পুরো মাঠ এবং জমি দখলের পাঁয়তারা চলছে। সাধারণ ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মুখে গত ৫ জানুয়ারী হঠাৎ করেই মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ছাত্রদেরকে বিকেল ৪ টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় এবং ছাত্রাবাসটি বন্ধ করে দেয়ায় আবাসন সঙ্কটের ফলে ছাত্ররা বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী ও সচিবসহ সরকারের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই যে, মাদরাসা ও কারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তরের জন্য ভবন আলাদা ও স্বতন্ত্র কোন স্থানে হতে পারে। সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়ার মত স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসের প্রাচীরের ভেতর উক্ত প্রস্তাবিত ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা শুধু অমানবিকই নয়, অনৈতিক এবং ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উচ্চ শিক্ষার এ বিদ্যাপিঠকে অবজ্ঞা, অবহেলা ও তিলেতিলে ধ্বংসের দিক ঠেলে দেয়ার এক গভীর চμান্ত ও নীল নকশার অংশ।
মাদরাসা-ই-আলিয়া ঢাকার ছাত্রাবাসসহ এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উনড়বয়নের পরিবর্তে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ভেতর মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর স্থাপন করার পরিকল্পনা সরকারের দ্বিমূখি আচরণ ও মাদরসা শিক্ষাকে অবজ্ঞা করার শামিল। নেতৃবৃন্দ বলেন, হটকারী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি । সাথে সাথে অবিলম্বে এ ধরনের হটকারী, অযৌক্তিক ও অমানবিক সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোড়ালো আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় সংগত কারণেই ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন এ বিদ্যাপিঠকে রক্ষা করার জন্য উক্ত প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রগণ এদেশের ধর্মপ্রান জনতাকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করতে বাধ্য হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।