পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে থাকায় ফের দেশের সকল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই সপ্তাহ বন্ধ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিরোধিতা করে ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শুরু হয়েছে তোলপাড়। কেউ এই সিদ্ধান্তের পক্ষে মত দিচ্ছে। আবার কেউ কেউ এর ঘোর বিরোধিতা করছেন।
এ প্রসঙ্গে আবদুর রহমান সিদ্দিক ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের জীবন অনেক মূল্যবান, তারা দেশের ভবিষ্যত। তাদের ভালোর কথা বিচার বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আল্লাহ্ সকলকে হেফাজত করুন আমীন!’
রেবেকা সুলতানার প্রশ্ন, ‘শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, এ কেমন সিদ্ধান্ত? স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কিছু চলতে পারলে শ্রেণি কার্যক্রম কেন চলতে পারবে না? মানুষ কি ঘর থেকে বাহির হবে না? তারা কি আবার ঘরে ফিরে পরিবারের সাথে থাকবে না? তাদের মাধ্যমে করোনা কি ছড়াবে না বলে দিছে। করোনা কি এতই শিক্ষিত শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ছড়াবে? কেন শিক্ষার্থীদের জীবন এইভাবে শেষ করে দিচ্ছেন? হাজারো পরিবার স্বপ্ন দেখে তাদের ছেলে-মেয়ে তাদের দায়িত্ব নিবে। কিন্তু আপনারা তো গ্রাজুয়েশনই শেষ করতে দিচ্ছেন না। আবার চাকরির বয়স বাড়ানো হবে না! এসি রুমে বসে সিদ্ধান্ত না দিয়ে, সাধারণ মানুষের সাথে থেকে সিদ্ধান্ত দিন।’
শহিদুল ইসলাম আরিফ লিখেছেন, ‘করোনা ভাইরাস শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য আসছে...... বাণিজ্য মেলা, বিপিএল, শপিংমল; এদের জন্য করোনা ভাইরাস আসে নি!’
আবিদ আল মিরাজ মনে করেন, ‘সব কিছুই ওপেন থাকা উচিত। শুধু কড়াকড়ি নিয়মকানুনের বিধান এবং তা মানার আইন করা উচিত।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে জুয়েল রানা লিখেছেন, ‘উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ! করোনা শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, আর কোথাও নাই!’
বিপিএল, বাণিজ্য মেলা ও বই মেলা খোলা রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়ে মাহমুদুল হাসান লিখেছেন, ‘বিষয়টা খুবই সিম্পল। বাণিজ্য মেলার যখন প্রস্তুতি নেয়া হয়, তখন সব কিছু স্বাভাবিক ছিলো, শতশত কোম্পানি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে প্যাভিলিয়ন করছে, বিদেশী স্টল এসেছে, এখন হুট করে বন্ধ ঘোষণা করলে সবাই’ই বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আর বিপিএল? বিপিএল তো হচ্ছে দর্শক ছাড়া….’
উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ধাপে ধাপে সেই ছুটি বাড়ানো হয়। অবশেষে সংক্রমণ কমে এলে ৫৪৪ দিন পর গতবছরের ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয় সরকার। তাতে দীর্ঘদিন পর শ্রেণীকক্ষে ফেরার সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও নেওয়া সম্ভব হয়। নতুন বছরের শুরু থেকেই দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকে। এরপরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা আসে। যদিও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বিগত কয়েকদিন ধরে বলে আসছিলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে টিকাদান কার্যক্রমে জোর দিচ্ছে সরকার। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।